মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি ও পথ হচ্ছে সাইয়েদুল ইস্তিগফার। যদি সাইয়েদুল ইস্তিগফারকে ওষুধের কাতারে কল্পনা করা হয়, তা হলে এটা হবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শুধু একটা রোগ সারায় না; বরং শরীরের সব ব্যাকটেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। সাইয়েদুল ইস্তিগফারও তেমনই, এটারও অনেক ফজিলত রয়েছে। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ করবে, সে যদি সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যায়- তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়ে, সে যদি সকাল হওয়ার আগে মারা যায়- তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৩২৩)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার হলো— বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আন্তা রব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা; খলাকতানি ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা, ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সনাতু, আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি; ফাগফির লি, ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইল্লা আন্তা।’

বাংলা অর্থ: ‘হে আল্লাহ, একমাত্র আপনিই আমাদের প্রতিপালক। আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। আপনিই আমার স্রষ্টা এবং আমি আপনার দাস। আমি আপনার সঙ্গে কৃত ওয়াদা ও অঙ্গীকারের ওপর সাধ্যানুযায়ী অটল ও অবিচল আছি। আমি আমার কৃতকর্মের সব অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার ওপর আপনার দানকৃত সব নেয়ামত স্বীকার করছি। আমি আমার সব গুনাহ স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা, আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ