রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারত সরকারের মন্তব্যের জবাব দিল ঢাকা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : ইবনে শায়খুল হাদিস রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন: ইসি আনোয়ারুল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন মানবে না জনগণ : মামুনুল হক ইসলামিক দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই : হাসনাত আবদুল্লাহ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় জেলে আটক করেছে পাকিস্তান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করা এক জেলেকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী। 

শনিবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

মন্ত্রীদের দাবি, আটক ব্যক্তির নাম ইজাজ মাল্লাহ। তাকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী তারার বলেন, ‌‘ভারতীয় সংস্থাগুলো মাল্লাহকে প্রলোভন দেখায় এবং হুমকি দেয়—যদি সে সহযোগিতা না করে, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাকে কিছু নির্দিষ্ট কাজের নির্দেশ দিয়ে পাকিস্তানে পাঠানো হয়।’

মন্ত্রী জানান, মাল্লাহকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী, নৌবাহিনী ও রেঞ্জার্সের পোশাক, স্থানীয় সিমকার্ড ও ফোন বিল সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল—গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ের উদ্দেশ্যে।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তার কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখে এবং ভারত ফেরার সময় তাকে আটক করে। আটক হওয়ার পর মাল্লাহ নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। তার স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে পাকিস্তান সরকার, যেখানে মাল্লাহ বলেন, ভারতীয় এজেন্টরা তাকে সহযোগিতা না করলে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল।

আত্তা তারার বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কৌশলগত ও কূটনৈতিক সাফল্যে ভারত অস্থির হয়ে এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।

‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তার ওপর নজর রাখে যখন দেখা যায়, সে সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্সের পোশাক এবং স্থানীয় সিমকার্ড কিনছে,’ বলেন তিনি।

গ্রেফতারের সময় মাল্লাহর কাছ থেকে পাকিস্তানি সিমকার্ড, দিয়াশলাই, লাইটারসহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়, যা ভারতের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ছিল বলে দাবি করেন মন্ত্রীরা।

তারার আরও বলেন, মাল্লাহ ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছিল এবং সংবেদনশীল উপকরণ সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছিল।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভারতের তথাকথিত ‘‘অপারেশন সিদুঁর’’ ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে তারা। কূটনৈতিক ও সামরিক ব্যর্থতার পর এই মিথ্যা বয়ানই ভারতের হতাশার প্রতিফলন।’

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী বলেন, আটক এজেন্টকে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল কোম্পানি থেকে সিমকার্ড সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি গণমাধ্যম দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিসরে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ