বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস ইন্ডিয়ার এজেন্ট ইসকন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের জোরালো সমর্থন ভারতীয় আগ্রাসন নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে সর্বস্তরের ছাত্র জনতার মানববন্ধন প্রলোভনের ফাঁদ: 'কেন আমাদের সন্তানরা এত সহজে ধরা দেয়? দেশ গড়ায় কেবল নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী ইমাম দম্পতিকে নির্যাতনের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত জনগণকে ইসলামি বিপ্লব থেকে দূরে সরাতে চায় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি: ড. মঈন খান

জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে নতুন করে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্মের সদস্যরা। তাদের লাগাতার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানী লিমা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।

বুধবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেরি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, এখন সময় এসেছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।

জরুরি অবস্থার আওতায় সেনাবাহিনীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার সাময়িকভাবে সীমিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জানান, এখন থেকে সরকার ‘প্রতিরক্ষামূলক’ নীতি থেকে সরে গিয়ে ‘আক্রমণাত্মক অবস্থানে’ যাবে-অর্থাৎ অপরাধী ও সংগঠিত অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হবে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে পেরুতে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবারের এক বিক্ষোভে সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে পেরুতে ১৮ হাজারেরও বেশি চাঁদাবাজির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে-যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।

যদিও সরকার দাবি করছে এই জরুরি অবস্থার লক্ষ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, তবে মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে গণতান্ত্রিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুতরভাবে হুমকির মুখে পড়বে। তাদের মতে, জরুরি অবস্থা কার্যকর থাকলে বিক্ষোভ কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, যা তরুণ সমাজের ক্ষোভকে আরও উসকে দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে কংগ্রেস থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করবেন।

কিন্তু এরই মধ্যে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলন সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে অপরাধচক্রের যোগসাজশের অভিযোগ জনগণের ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে।

সূত্র : ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ