মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীদের খাবার বন্ধ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী নানা আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীদের আশানুরূপ উপস্থিতি না থাকায় খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার বন্ধের ঘোষণা দেন হলটির প্রভোস্ট। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলটিতে অবস্থানরত ছাত্রীরা।

জানা যায়, বুধবার বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে দুপুরে পান্তাভাত, ভর্তা ও রুই মাছ ভাজির আয়োজন করা হয়। নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে এদিন সকালে হল থেকে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এ সময় আশানুরূপ শিক্ষার্থী উপস্থিত না হওয়ায় হলটির প্রভোস্ট হতাশ হয়ে তাৎক্ষণিক দুপুরে পান্তাভাতের আয়োজনটি বন্ধ ঘোষণা করেন এবং রাত ৯টায় সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিংয়ের আহ্বান জানান। এদিকে হলটির ডাইনিংয়ে দুপুরের স্বাভাবিক খাবারের আয়োজনও করা হয়নি।


ফলে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

এই ঘটনার পর হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের ডাইনিংয়ে খাবার রান্না হওয়ার মাঝ পর্যায়ে প্রভোস্ট স্যার বন্ধ করে দিয়েছেন। এর আগে নোটিশে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণও বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেননি।

ফলে সবাই যার যার মতো ক্লাস পরীক্ষা থাকায় সবাই ক্যাম্পাসে চলে যায়। পরে দুপুরের পর এসে জানতে পারি হলে খাবারের আয়োজন করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।

হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা জাতীয় অনুষ্ঠানে সবসময় চেষ্টা করি জমকালো আয়োজন করার। আমার হলে প্রায় ৪০০ ছাত্রী থাকে।

কিন্তু সকালে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ শোভাযাত্রায় আসেনি। আমাদের ব্যান্ড পার্টি ছিল, এই কয়েকজন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় প্ল্যান ক্যান্সেল করি এবং তৎক্ষণাৎ হতাশ হয়ে দুপুরের খাবারটা বন্ধ করার চিন্তা করি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং পদত্যাগের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।

এসএকে/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ