শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের

৭০ বছর বয়সে কোরআনে হাফেজ হলেন আয়েশা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জীবনের শুরুর দিকে কোরআন হেফজ করতে পারেননি। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ ছিল না ফিলিস্তিনি নারী আয়েশা বেগমের। তাই ৬৫ বছর বয়সে যখন সুযোগ হলো তখনই তিনি নেমে পড়েন কোরআন আত্মস্থ করায়। অবশেষে পাঁচ বছরের চেষ্টায় ৭০ বছর বয়সে তিনি কোরআনের হাফেজ হতে সক্ষম হয়েছেন। খবর আলজাজিরা।

খবরে বলা হয়, কোরআনকে হৃদয়ে ধারণ করতে না পারার শূন্যতা আয়েশা তার জীবনে খুব তীব্রভাবে অনুভব করছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জীবন সাধারণ আর যে কোনো দেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ হয়নি হাফেজ হওয়ার। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও তার সেই স্পৃহায় কোনো ভাটা পড়েনি। বরং কোরআন হেফজের আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে। সে কারণে ৬৫ বছর বয়সে এসে তিনি ঠিক করেন, আর দেরি নয়, এবার যেভাবেই হোক পবিত্র কোরআন মুখস্থ করবেন তিনি।

মহান আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা করে শুরু করেন হিফজ করা। তবে একজন মানুষ শিশুবেলায় যতটা সহজে হিফজ করতে পারে, বৃদ্ধ বয়সে সেটা অনেক গুণ কঠিন হয়ে যায়। তারপরও চলতে থাকে আয়েশা বেগমের পথ চলা। তবে মাসের পর মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও কোরআন হিফজ শেষ না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই হতাশা ঘিরে ধরে তাকে। তবে সে সময় পাশে এসে দাঁড়ান স্বামী। তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেন, হাফেজ হতে হলে তো দমে যাওয়া যাবে না।

তার উৎসাহ ও সাহসে আবার শুরু করেন। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর শেষে এক সময় সফল হন আয়েশা। বয়স আর হতাশাকে জয় করে শেষ করেন কোরআন হেফজর কাজ। ৭০ বছর বয়সে এসে জীবনের অতৃপ্তি মিটেছে তার।

তবে তিনি চান, তার মতো আর কেউ যেন এমন আফসোস না করে। প্রত্যেকেই যেন জীবনের শুরুতেই কোরআন মজিদ হৃদয়ে ধারণ করে নেয়। আর সে লক্ষ্যে তিনি নাতিদের ছোট থেকেই কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ