শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

৭০ বছর বয়সে কোরআনে হাফেজ হলেন আয়েশা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জীবনের শুরুর দিকে কোরআন হেফজ করতে পারেননি। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ ছিল না ফিলিস্তিনি নারী আয়েশা বেগমের। তাই ৬৫ বছর বয়সে যখন সুযোগ হলো তখনই তিনি নেমে পড়েন কোরআন আত্মস্থ করায়। অবশেষে পাঁচ বছরের চেষ্টায় ৭০ বছর বয়সে তিনি কোরআনের হাফেজ হতে সক্ষম হয়েছেন। খবর আলজাজিরা।

খবরে বলা হয়, কোরআনকে হৃদয়ে ধারণ করতে না পারার শূন্যতা আয়েশা তার জীবনে খুব তীব্রভাবে অনুভব করছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জীবন সাধারণ আর যে কোনো দেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ হয়নি হাফেজ হওয়ার। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও তার সেই স্পৃহায় কোনো ভাটা পড়েনি। বরং কোরআন হেফজের আগ্রহ আরও প্রবল হয়ে ওঠে। সে কারণে ৬৫ বছর বয়সে এসে তিনি ঠিক করেন, আর দেরি নয়, এবার যেভাবেই হোক পবিত্র কোরআন মুখস্থ করবেন তিনি।

মহান আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা করে শুরু করেন হিফজ করা। তবে একজন মানুষ শিশুবেলায় যতটা সহজে হিফজ করতে পারে, বৃদ্ধ বয়সে সেটা অনেক গুণ কঠিন হয়ে যায়। তারপরও চলতে থাকে আয়েশা বেগমের পথ চলা। তবে মাসের পর মাস এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও কোরআন হিফজ শেষ না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই হতাশা ঘিরে ধরে তাকে। তবে সে সময় পাশে এসে দাঁড়ান স্বামী। তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেন, হাফেজ হতে হলে তো দমে যাওয়া যাবে না।

তার উৎসাহ ও সাহসে আবার শুরু করেন। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর শেষে এক সময় সফল হন আয়েশা। বয়স আর হতাশাকে জয় করে শেষ করেন কোরআন হেফজর কাজ। ৭০ বছর বয়সে এসে জীবনের অতৃপ্তি মিটেছে তার।

তবে তিনি চান, তার মতো আর কেউ যেন এমন আফসোস না করে। প্রত্যেকেই যেন জীবনের শুরুতেই কোরআন মজিদ হৃদয়ে ধারণ করে নেয়। আর সে লক্ষ্যে তিনি নাতিদের ছোট থেকেই কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ