মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

রাসূল সা. হাসিমুখে ঘরে ঢুকতেন: মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। রাসূল সা.অভ্যাস ছিল, যখনই ঘরে ঢুকতেন তাঁর চেহারায় হাসির ঝিলিক থাকত। একবার রাসূল সা. সফর থেকে ফিরলেন।

ঘরে ঢোকার সময় অভ্যাসবশত তারঁ চেহারায় হাসির ছাপ নেই। একটা বিরক্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেল। হজরত আয়েশা রা. চিন্তিত হয়ে গেলেন। তিনি আরজ করলেন, ইয়া রাসূলসাল্লাহ! আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি। আমার কী ভুল হয়েছে একটু বলুন। তখন রাসূল সা. বলেন, তোমার পর্দার কাপড়ে প্রাণীর ছবি। সঙ্গে সঙ্গে আয়েশা রা. পর্দা চিড়ে এমনভাবে তা লাগালেন যাতে ছবি আছে তা বোঝাঁ না যায়।

দেখুন, হজরত আয়েশা রা. এটা দেখে অভ্যস্থ ছিলেন না যে রাসূল সা. ঘরে ঢুকবেন আর তাঁর চেহারায় হাসির ঝিলিক থাকবে না। সুতরাং তিনি তা সহ্য করতে পারলেন না এবং সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন।

তাকওয়া ছাড়া এসব অসম্ভব এক রাতের ঘটনা। রাসূল সা. হজরত আয়েশা রা.এর ঘরে শুয়েছিলেন। আয়েশা রা. বলেন, রাতের কিছু অংশ পার হওয়ার পর রাসূল সা.ভাবলেন আমি হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছি। তিনি আস্তে আস্তে উঠলেন এবং কোনো শব্দ না করে দরজায় কাছে গেলেন।

তিনি আস্তে আস্তে দরজা খুলে বের হলেন এবং আস্তে আস্তে দরজা বন্ধ করলেন। এরপর লম্বা ঘটনা। এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো রাসূল সা. অত্যন্ত সাবধানে ঘুম থেকে উঠলেন, দরজা খুলে বের হয়ে আবার খুব সতর্কতার সঙ্গে দরজা লাগিয়ে দিলেন। এর কারণ হলো পাশে ঘুমিয়ে থাকা হজরত আয়েশা রা. এর কোনো কষ্ট যেন না হয়। তাঁর ঘুম যেন ভেঙ্গে না যায়। এসব বিষয়ে প্রতি লক্ষ্য রাখা আল্লাহর ভয় এবং পরকালের হিসাবের প্রতি ভয় ছাড়া কখনও সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, নারীরা সৃষ্টিগতভাবেই একটু দুর্বল প্রকৃতির। আল্লাহর ভয় না থাকলে তাদেরকে পুরুষেরা ধাবিয়ে রাখবে। এটাই আজকাল হচ্ছে। প্রায়ই শোনা যায় নারীদেরকে উত্তরাধিকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাবা মারা যাওয়ার পর গোটা সম্পদ ভাইয়েরা ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যান। বোনদেরকে বঞ্চিত করা হয়। সূত্র: খুতুবাতে ফকীহুল ইসলাম

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ