বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

‘রোজার পণ্যের পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে, সংকট হবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পাঁচ নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায়। পণ্য পাঁচটি হলো- চিনি, ছোলা, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুর।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্য আমদানিতে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণপত্র খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি- নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে এসব পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ টন চিনি আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, আর গত জানুয়ারিতে খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন চিনি আমদানির।

গত বছরের জানুয়ারিতে ভোজ্যতেলের ঋণপত্র খোলা হয়েছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ টন, যা গত জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে দুই লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন ছোলা আমদানির জন্য খোলা হলেও চলতি

বছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা কমে হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ টন। গত বছরের একই মাসে ৩৬ হাজার ২২৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, এবার যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ টন। খেজুর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা এ বছর বেড়েছে।

গত বছরের ১৬ হাজার ২৯৮ টন থেকে বেড়ে বর্তমান বছরে ২৯ হাজার ৪৮১ টন। সব মিলিয়ে এই পাঁচ পণ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৩ টনের জন্য। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ টন।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক আরও বলেন, রমজানের পণ্য আমদানিতে নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চাহিদামতো ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আশা করছি পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানান, ডলারের সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ