রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

লাদাখে ২৬ টহল পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীনের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তের পূর্বাঞ্চলীয় ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে অন্তত ২৬টিতে প্রবেশের অধিকার হারিয়েছে ভারত। ভারতের কেন্দ্রশাসিত লাদাখের জ্যেষ্ঠ একজন পুলিশ কর্মকর্তার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় ওই পুলিশ কর্মকর্তা চীনের সাথে ভারতের বিতর্কিত সাড়ে ৩ হাজার সীমান্ত এলাকা নিয়ে চলমান উত্তেজনার মাঝে নতুন এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছেন। লাদাখের প্রধান শহর লেহের পুলিশ সুপার পিডি নিত্য গবেষণা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উপস্থাপন করেছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পিডি নিত্যের গবেষণা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বুধবার এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে লেহের পুলিশ সুপার পিডি নিত্য লিখেছেন, ‘বর্তমানে কারাকোরাম পাস থেকে চুমুর পর্যন্ত ৬৫টি টহল পয়েন্ট (প্যাট্রোলিং পয়েন্ট বা পিপি) রয়েছে; যেখানে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (আইএসএফ) সদস্যরা নিয়মিত টহল দেন। ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে ২৬টিতে আমাদের উপস্থিতি হারিয়ে গেছে। যেমন, পিপি ৫-১৭, ২৪-৩২, ৩৭ এ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল সীমিত হয়েছে অথবা কোনও টহলই নেই।

গত সপ্তাহে রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বার্ষিক এক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘পরবর্তীতে চীন আমাদেরকে এই সত্য মেনে নিতে বাধ্য করেছে যে, এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী অথবা ভারতের বেসামরিক নাগরিকদের উপস্থিতি দেখা যায়নি; যে কারণে ওই অঞ্চলে চীনারা উপস্থিত হয়েছেন। এর ফলে আইএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকা সীমানা ভারতের দিক থেকে সরে গেছে এবং এই ধরনের সব পকেটে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি হয়েছে; শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ভারত। চীনের সামরিক বাহিনীর (পিএলএ) ইঞ্চি ইঞ্চি করে জমি দখলের এই কৌশল ‘সালামি স্লাইসিং’ নামে পরিচিত।’’

ভারতীয় এই পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘পিএলএ উত্তেজনা প্রশমনের আলোচনার সময় বাফার এলাকার সুযোগ নিয়ে লাদাখের সর্বোচ্চ চূড়ায় ক্যামেরা স্থাপন করে আমাদের বাহিনীর গতিবিধি পর্যব্ক্ষেণ করছে। এমনকি তারা বাফার জোনেও আমাদের চলাফেরায় আপত্তি জানায় এবং সেটি তাদের অপারেশন এলাকা বলেও দাবি করে। শুধু তাই নয়, সেখানে আরও বাফার এলাকা তৈরি করার জন্য আমাদের ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানায় চীনা সামরিক বাহিনী।’

২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘাতে প্রাণহানির পর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের সংঘর্ষ হয়। গালওয়ানের পর অরুণাচলের ওই সংঘর্ষকে সবচেয়ে মারাত্মক বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ