শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

শীতে শিশুকে যেসব খাবার খাওয়াবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শীতকালে শিশুদের অসুখ বেশি হয়। ঠাণ্ডার সময়ে সর্দি, জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা খুব সাধারণ অসুখ। শীতে শিশুদের এনার্জির দরকার হয় বেশি। যা শরীরকে ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়ার শক্তি দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ সময় শিশুর শরীরিক যত্নের পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে।

জেনে নিন শীতে যেসব খাবার শিশুকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে:

গাজর: গাজরে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান শীতের সময়ে আমাদের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ষা করে ভাইরাল সংক্রমণ থেকে। এছাড়া গাজর হলো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি শিশুর পাচনতন্ত্র নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

খেজুর: খেজুর শুধু শীতে নয়, সারা বছরই শিশুকে এই ফল খেতে দিন। খেজুরে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা বাড়ন্ত বয়সে খুবই জরুরি। এসব উপাদান শীতে শিশুকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে। শিশু যদি শুধু খেজুর খেতে না চায় তবে স্মুদি, মিল্কশেক, দুধ কিংবা ডেজার্টে মিশিয়েও খেতে দিতে পারেন। এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য শিশুর বিপাকক্ষমতাকে উন্নত করে।

রসুন: শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় যোগ করুন রসুন। উপকারী এই ভেষজ অ্যালিসিন সমৃদ্ধ। অ্যালিসিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রসুন খেলে শিশুর সর্দি-কাশি ও জ্বর তো দূর হয়ই, সেইসঙ্গে বিভিন্ন অসুস্থতাও দূরে থাকে। শীতের সময়টাতে শিশুর খাবারের তালিকায় রসুন রাখতে চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের স্যুপ ও ডাল রান্নায় রসুনের ব্যবহার করা যেতে পারে।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু শিশুর পছন্দের একটি খাবার। এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম। এসব উপাদান শীতের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শীতের সময়ে শিশুর খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু এবং মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি নানা পদ রাখতে পারেন।

সাইট্রাস ফল: শীতের সময়ে সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল বেশি পাওয়া যায়। এসময় কমলা, মাল্টা ইত্যাদি শিশুকে খেতে দিন। এই ফলগুলোতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। সেইসঙ্গে সুস্থ রাখে শরীরও।

সবুজ শাকসবজি: শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তার খাবারের তালিকায় সুবজ শাক-সবজি রাখতে হবে। সুবজ শাক-সবজিতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার এবং লুটেইন। এসব উপাদান শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে কোষ্ঠকাঠিন্য। শীতের মৌসুমে শিশুকে পর্যাপ্ত সবুজ শাক-সবজি খেতে দিন।

ডিম: শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখবেন। কারণ এটি তাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কাজ করে। ডিমে আরও আছে ভিটামিন ও খনিজ। এই দুই উপাদান শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে কাজ করে। তাই শীতে শিশুর খাবারের তালিকায় ডিম যোগ করুন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ