শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের

একজন সাদামনের আলেমের বিদায়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমিন রাহমানী: হাফেজ মাওলানা আব্দুস সালাম রহ. জামিয়া রাহমানিয়ায় দীর্ঘদিন হিফজ বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আমিও হুজুরের কাছে কিছুদিন (২০১০) পড়েছি। একদম সরল, নিরহঙ্কার ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন।

আমরা হিফজ বিভাগ থেকে কিতাব বিভাগে আসার পর, কোনো প্রয়োজনে হিফজখানায় গেলে খুব সমাদর করতেন। সরাসরি ছাত্র হওয়ার পরেও হিফজখানায় গেলে সরলমনে টুপি খুলে বলতেন মাওলানা সাব একটু ফুঁ দিয়ে দেন। লজ্জা লাগতো, তারপরও মুহাব্বত করে বলাতে ফুঁ দিতাম। হুজুর খুশি হতেন। এ ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটতো।

হুজুরের দুইটা কথা সবসময় মনে পড়ে। ১। হুজুর বলতেন—টিনের চালের যে স্থানে স্ক্রু লাগানো হয়, ওটা মজবুত থাকে। ঝড় তুফানে কিছু হয় না। আর যেখানে স্ক্রু থাকে না, সেটা দুর্বল থাকে, হালকা বাতাসেও টলে যায়। হুজুরদের শাস্তিগুলোও তেমন। যেই পড়ায় বেতের বারি পড়েছে, ওটা বেশি ইয়াদ থাকে। আর যেখানে পড়ে নাই সেটা দুর্বল হয়। ইয়াদ কম থাকে।

২। হুজুরের গদির সামনে বসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে তিনি বলতেন— দেখো তোমাদের আর আমাদের বাহ্যিক উপবেশনস্থলের মাঝে মাত্র একবিঘত দূরত্ব। কিন্তু এ এক বিঘত দূরত্ব অতিক্রম করতে ১২/১৫ বছর লাগে।

হুজুরের একথাগুলো আমাদের ছোটো মনে আনন্দ দিতো। ভালো লাগতো। তাই একযুগ পরে এসেও কথাগুলো সেভাবেই মনে আছে।
কিতাব বিভাগে থাকাবস্থায় যখনই দেখা হতো, হাসি দিয়ে নিজে আগে সালাম দিতেন। খোঁজ খবর নিতেন।

আজিজিয়া হওয়ার পর দিলগনী মসজিদে ইফতা থাকার সুবাদে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। হুজুরের সাথে একবার দেখা হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কোথায় খেদমতে আছি, কেমন আছি, বিয়ে শাদি করেছি কি না ইত্যাদি খোঁজ খবর নিয়েছেন। কথা শেষে খাবারের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু তাড়াহুড়া থাকায় দাওয়াত গ্রহণ করতে পারিনি। কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি হুজুর এত দ্রুত চলে যাবেন। রহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসিয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ