শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মসজিদে নববীতে এক দিনে বিতরণ ১৮৩ টন জমজমের পানি কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশের দাম চড়া, আগ্রহ হারাচ্ছে ক্রেতারা মাদরাসাতুল কুরআনে ‍দুই দিনব্যাপী সিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত আগামী সরকার জুলাই আত্মত্যাগকে ধারণ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  ভারত থেকে দেশবিরোধী অপকৌশলে লিপ্ত শেখ হাসিনা: এ টি এম আজহার ৩৭ বছরের ইমামকে রাজকীয় বিদায় ইমাম-খতিবদের হয়রানি বন্ধে হেফাজতের ‘বিশেষ সেল’ খোলার আহ্বান এদেশের সব ভালো কাজেই বিএনপির অবদান রয়েছে: মির্জা ফখরুল সংকট এড়িয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান সালাহউদ্দিনের জামায়াতের আমির হামযার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ মুহসীন হল শিক্ষার্থীদের

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়। তবে তা সাধারণ ভেবে অনেকেই ভুল করেন। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিন্তু হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথমে তা টের পাওয়া যায় না। তবে কিছু লক্ষণ আছে যার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থাতেই ডায়াবেটিস শনাক্ত করা হয়।

যেমন- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, সব সময় পানি পিপাসা পাওয়া, জিভ শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, ওজন কমে যাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন, দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাসও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মুখের চারপাশের অংশে তার প্রভাব পড়ে। নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’।

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় বিধিনিষেধ, নিয়ম করে শরীরচর্চার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলোকে ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’বলা হয়।

রক্তে ইনসুলিনের অভাবে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে। ফলে হিসাবে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০-৩০০ এর বেশি হলেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ