বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬


ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দীক রা. এর দরদমাখা কয়েকটি উপদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।। সবচেয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় হলো, তাকওয়া অবলম্বন করা৷ সবচেয়ে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হলো, গুনাহের কাজ করা৷ সবচেয়ে সত্যবাদিতার পরিচয় হলো, আমানত রক্ষা করা৷ সবচেয়ে জগণ্য মিথ্যা হলো, খেয়ানত করা৷

যখন মানুষ দুনিয়ার কোন বিষয়ের উপর আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন থেকে আল্লাহ তায়ালা তার উপর নারাজ থাকেন৷ যদি সে তা থেকে পৃথক হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তায়ালা তার উপর রাজি হয়ে যান৷

তিনি আফসোস করে বলতেন, যদি আমি মানুষ না হয়ে কোন গাছ হতাম, যা কেটে ফেলা হতো৷ এবং খেয়ে ফেলা হতো৷ তিনি জিহ্বাকে টেনে ধরে বলতেন, এটিই আমাকে ধ্বংসের স্থানে উপনীত করেছে৷

এক ভাষণে বলোন, সুন্দর ও ফর্সা মানুষগুলো এখন কোথায়? যাদের নিজের সুন্দর্যতার উপর অহমিকা ছিলো? যেসব রাজা-বাদশারা শহর তৈয়ার করেছিলো, দূর্গ প্রস্তুত করেছিলো, তারা এখন কোথায়? বীর-বাহাদুররা কোথায়? যারা যুদ্ধের ময়দানে সবসময় বিজয়ী হতো? যুগ তাদেরকেও ধ্বংস করে দিয়েছে৷ তারাও অন্ধকার কবরে নিতর পড়ে আছে৷

তিনি বলতেন, সাবধান! কেউ যেনো কাউকে তুচ্ছ মনে না করে৷ কারণ, ছোট স্তরের মুসলমানও আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক বড়৷

তিনি বলতেন, আমরা তাকওয়ার মধ্যে বুজুর্গী পেয়েছি বিশ্বাসের মধ্যে অমুখাপেক্ষীতা পেয়েছি৷ বিনয়ের মধ্যে মান-সম্মান পেয়েছি৷

তিনি বলেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোলাম-বাদীদেরকে নিজের সন্তানদের মতো করে রাখো৷ তোমরা যা খাও, তাদেরকেও তা খেতো দাও৷ তোমরা যা পরিধান করো, তাদেরকেও তেমন কাপড় পরিধান করাও৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ

-এটি


সম্পর্কিত খবর