শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হজরত বেলাল রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাখাওয়াত রাহাত:।। হজরত বেলাল রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন। রাজকন্যার গর্ভজাত সন্তান হয়েও জন্মসূত্রে ক্রীতদাস। ইসলাম গ্ৰহণের অপরাধে(!) যাকে সহ্য করতে হয় অমানবিক নির্যাতন। মেরাজের রাতে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতে যার খড়মের শব্দ শুনেছেন। এটি তাঁর মাকবারা। এর অবস্থান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে।

বেলাল রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। নবিজির তিরোধানের পর তিনি খুব ভেঙে পড়েন।

প্রিয়তমকে দেখা ছাড়া মদিনায় অবস্থান করা তার জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। ফলে শামে চলে যান তিনি। সেখানে একরাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন— নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলছেন, বেলাল! কতদিন হয়ে গেল তুমি আমার সাথে দেখা করো না! হন্তদন্ত হয়ে তিনি ঘুম থেকে ওঠলেন এবং পরদিন সকালেই মদিনা অভিমূখে রওনা দিলেন।

তখন ছিল ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু-এর শাসনামল। তিনি বেলাল রাদিআল্লাহু আনহুকে দেখে খুব খুশি হলেন। তাঁকে আজান দেওয়ার অনুরোধ করলেন। বিদ্যুৎবেগে খবর ছড়িয়ে পড়লো শহরের অলিগলিতে। মদিনাবাসীর তনুমনে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল।

বহুবছর পর তিনি যখন আজান শুরু করলেন, তখন পুরো মদিনা যেন কেঁপে ওঠলো। নবিযুগের চিরচেনা সেই আজানের সুর কানে আসতেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লো। হাবিবের স্মরণে ঢুকরে কাঁদতে লাগলো।

তিনি আজান শুরু করলেও শেষ করতে পারলেন না। আশাহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছেই কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে পড়ে গেলেন। সংজ্ঞা হারালেন।

কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কাটানো স্মৃতিগুলো তার মানসপটে জীবন্ত হয়ে ওঠছিল। সাইয়্যেদুনা বেলাল রাদিআল্লাহু আনহু যখন অন্তিম শয়ানে, তখন তিনি বললেন— কী আনন্দের কথা! কী সুখের দিন এসেছে! আগামীকাল যে আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবিদের সাথে সাক্ষাৎ করব।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর ভালোবাসার সাগর থেকে দুয়েক ফোঁটা দান করুন। রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু ওয়ারাদু আনহু।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ