রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন

বড়দের কাছে জামাতে নামায ও তাকবীরে উলার গুরুত্ব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুয্যাম্মিল হক উমায়ের

তিন যুগের চেয়ে বেশি সময় জামাতে নামায আল্লামা সাঈদ বিন মুসায়্যিব রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। যিনি তাবিয়ীদের মধ্যে প্রথম সারির একজন বড় মাপের তাবিয়ী ছিলেন। সাহাবীয়ে রাসূল সায়্যিদিনা হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর মেয়ের জামাই ছিলেন। ছিলেন ইলম-আমলে অনেক গভিরে।

এই ইলমের গভিরতা দেখেই হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু নিজের মেয়েকে তাঁর সান্নিধ্যে দিয়েছিলেন। বানিয়ে ছিলেন নিজের সুযোগ্য জামাতা। হযরতের ঘটনা। বর্ণনা করেন হযরতের সুযোগ্য ছাত্র ইবনে হারমালাহ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। তিনি বলেন, হযরত নিজেই বলেছেন,

مَا فَاتَتْنِي الصَّلَاةُ فِي الْجَمَاعَةِ مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً চল্লিশ বছর যাবত আমার জামাতে নামায ছুটেনি।

এই মহান তাবিয়ী সম্পর্কে এসেছে। বর্ণনা করেন হযরতের সুযোগ্য ছাত্র হযরত উসমান বিন হাকীম রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। তিনি বলেন, আমি হযরতকে বলতে শুনেছি, مَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ مُنْذُ ثَلَاثِينَ سَنَةً إِلَّا وَأَنَا فِي الْمَسْجِدِ

ত্রিশ বছর যাবত আমি মসজিদে যাওয়ার পর মুআয্যিন আযান দিয়েছে। আরেক স্থানে এসেছে। বর্ণনা করেন হযরতের আরেকজন যোগ্য ছাত্র মায়মুন বিন মিহরান রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। তিনি বলেন, مَكَثَ أَرْبَعِينَ سَنَةً لَمْ يَلْقَ الْقَوْمَ قَدْ خَرَجُوا مِنَ الْمَسْجِدِ وَفَرَغُوا مِنَ الصَّلَاةِ

হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব রাহিমাহুল্লাহু তাআলার চল্লিশ বছর যাবত কখনো এমন হয়নি যে, তিনি গিয়ে দেখেন, মসজিদ থেকে মুসল্লিরা নামায পড়ে বের হয়ে আসছেন।

হযরত সম্পর্কে তাঁর সুযোগ্য ছাত্র ইবনে হারমালাহ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা বলেন, مَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً إِلَّا وَسَعِيدٌ فِي الْمَسْجِدِ

চল্লিশ বছর যাবত আযানের আগে তিনি মসজিদে উপস্থিত থাকতেন। এই মহান মনীষী সম্পর্কে অন্যত্র এসেছে, صَلَّى سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ الْغَدَاةَ بِوَضُوءِ الْعَتَمَةِ خَمْسِينَ سَنَةً

তিনি পঞ্চাশ বছর যাবত রাতের প্রথম অংশের ওজু দ্বারা ফজরের নামায পড়েছেন। ওজু, নামায ও জামাতের ব্যাপারে আমাদের বড়রা এমনভাবেই নিজেদেরকে সজাগ সচেতন রাখতেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইত্তিবায়ে সুন্নতের অনুসরণ ছিলো তাঁদের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ