রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

জামিয়া ইউনুছিয়ার মাওলানা আব্দুর রহিমকে অব্যাহতি, জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শতবর্ষী মাদরাসা ‘জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া’র সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে এ অব্যাহতি দেয়া হয়। মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ স্বাক্ষরিত এ অব্যাহতি নামায় অভিযোগ আনা হয়, ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের বিক্ষোভে নামিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন তিনি।

জানা গেছে, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে অব্যাহতি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মাদরাসার মজলিসে ইলমীর জরুরি বৈঠক থেকে নেয়া হয়েছে।

মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, আমরা প্রথমে তিনজন উস্তাদের মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি নামা পৌঁছালে তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গত ৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পুনরায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, ‘গত ১২ নভেম্বর মাদরাসার একজন প্রবীণ কারী মাওলানা আবুল খায়ের নামের একজন উস্তাদের মাধ্যমে মাদরাসার শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় সম্বলিত একটি কাগজে মাদরাসার সব উস্তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়। এ সময় মাওলানা আব্দুর রহিম মাদরাসার ছাত্রদের ভুল বুঝাতে থাকেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে মাদরাসার ছাত্রদের বলতে থাকেন, কাগজে তাকে বহিস্কারের জন্য স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। ছাত্রদের এসব কথা বলে ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করান তিনি। অথচ তখন মাদরাসার ছদর মাওলানা আশেক এলাহী, মজলিসে ইলমির সদস্য মাওলানা সাজিদুর রহমান ও আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের কোনো কিছুই অবগত না করে তিনি ছাত্রদের জড়ো করতে থাকেন। তাছাড়া তিনি জামিয়ার সিনিয়রদের তোয়াক্কা করেন না। সবকিছু নিজের মনমতো করেন।’

অভিযোগের ব্যাপারে মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে। এর একটিও সত্য নয়। সবগুলোর আলাদা ব্যাখ্যা আছে। মুরুব্বিগণ আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন। তাই আপাতত কিছু বলবো না। তবে আগামীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা দিবো।’

এ সময় তিনি জানান, রোববার (৬ ডিসেম্বর) জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার কিছু বর্তমান ও সাবেক ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ