রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

মেয়র আরিফুল হকের সান্ত্বনায় অনশন ভাঙলেন রায়হানের মা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিলেট বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আমরণ অনশনে বসা রায়হানের মায়ের অনশন ভাঙালেন সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রায়হানের মাকে সান্ত্বনা দিয়ে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান মেয়র আরিফ। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে অবরোধ তুলে দেন।

এর আগে সকাল ১১টায় রায়হানের মা, পরিবারের সদস্যরা ও আখালিয়া এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অনশনে বসেন এবং বিভিন্ন ধরণের ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। রায়হানের মাকে ‘আমার ছেলে কবরে, খুঁনি কেন বাহিরে’ স্লোগান লেখা ফেস্টুন হাতে বসে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে আকবরসহ সকল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় এলাকাবাসী। যে আল্টিমেটামের সময় পার হয় গত বুধবার। পরে বুধবার ফের নতুন করে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এলাকাবাসী।

২য় ধাপে দেয়া কর্মসূচি শেষ হলেও হতাশাই থেকে যায় রায়হানের স্বজনদের। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় এবার অনশনে বসেন তারা। গত ১১ অক্টোবর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়েরের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পলাতক মূল অভিযুক্ত সদ্য বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া। তবে এ ঘটনায় টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদ নামের দুই কনেস্টবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

১১ অক্টোবর ভোররাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে রায়হানকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর থেকে আকবর পলাতক। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত করছে পিবিআই।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ