সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাযাহেরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ

ঋণগ্রস্ত ও পাওনাদারের জাকাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জাকাতের হিসাবের সময় অনেকেই বিশেষ করে ঋণগ্রস্ত ও পাওনাদার ঋণের অর্থের কী হবে এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। তাদের জন্য আজকের আলোচনা।

কারও ঋণ যদি এত পরিমাণ হয় যে, তা বাদ দিলে তার কাছে নেসাব পরিমাণ জাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে না, তাহলে তার ওপর জাকাত ফরজ নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এই মাসয়ালাটি সব ঋণের ক্ষেত্রে নয়।

কারণ ঋণ দুই ধরনের হয়ে থাকে। ক. প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য বাধ্য হয়ে নেওয়া ঋণ, খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নেওয়া ঋণ।

প্রথম প্রকারের ঋণ সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে জাকাতের নেসাব বাকি থাকে কিনা তার হিসাব করতে হবে। নেসাব থাকলে জাকাত ফরজ হবে, অন্যথায় নয়। কিন্তু যে সব ঋণ উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয়, যেমন কারখানা বানানো, কিংবা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানানো অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিলে জাকাতের হিসাবের সময় সে ঋণ ধর্তব্য হবে না। অর্থাৎ এ ধরনের ঋণের কারণে জাকাত কম দেওয়া যাবে না।

বিয়ে-শাদিতে মোহরানার যে অংশ বাকি থাকে তা স্বামীর কাছে স্ত্রীর পাওনা। কিন্তু এই পাওনা স্বামীর ওপর জাকাত ফরজ হওয়া না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ জাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাবের সময় এই ঋণ বাদ দেওয়া যাবে না; বরং সমুদয় সম্পদের জাকাত দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বিনা প্রয়োজনে মোহরানা আদায়ে বিলম্ব করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

অন্যকে যে টাকা কর্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বা ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে, এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য জাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে মিলিতভাবে নেসাব পূর্ণ করলে তারও জাকাত দিতে হবে।

পাওনা উসুল হওয়ার পর ওই টাকার জাকাত আদায় করা ফরজ হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। উপর্যুক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসুল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের জাকাত আদায় করা ফরজ হয়।

স্বামীর কাছে পাওনা মোহরানা নেসাব পরিমাণ হলেও তা স্ত্রীর হস্তগত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাতে জাকাত ফরজ হয় না। হস্তগত হওয়ার পর যদি আগে থেকেই ওই মহিলার কাছে জাকাতযোগ্য সম্পদ নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে এখন থেকে বছর গণনা শুরু হবে এবং বছর পূর্ণ হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি স্ত্রী মোহরানা পাওয়ার আগ থেকেই নেসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক থেকে থাকে তাহলে এই সদ্যপ্রাপ্ত মোহরানা অন্যান্য টাকা-পয়সা বা সম্পদের সঙ্গে যোগ হবে এবং সে সব পুরানো সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়ার পর সমুদয় সম্পদের জাকাত দিতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ