শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬


মুসলমানদের জন্য ফাজিলতপূর্ণ দিন 'জুমা'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ। এ দিনের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। আল্লাহ তাআলা বলেন, মুমিনগণ,জুমআর দিনে যখন নামাযের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। (আল কুরআন: সূরা আল জুমুআহ;০৯)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সূর্য উদিত হয় এরুপ দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিনটিই হল সর্বোত্তম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায়; আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দিবেন।-(তিরমিযী;১০৭৮)।

ওমর রা. বললেন, এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি; তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমার দিন।-(সহীহ বুখারী; হাদিস নং – ৪৩, ৪৪০৭, ৪৬০৬, ৭২৬৮; সহীহ মুসলিম ৪৩/১, হাদিস নং – ৩০১৭)

১. এ দিন আদম আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছিল – (আবু দাউদ – ১০৪৬), ২. ৩. তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল – (মুসলিম;জুম’আর নামাজ পর্ব), ৪. এই দিনেই তাকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল।

৫. ৬. এ দিনই তার তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং তার রূহ কবজ করা হয়েছিল – (আবু দাউদ – ১০৪৬), ৭. এই দিনেই শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে – (আবু দাউদ – ১০৪৭), ৮. এই দিনেই কিয়ামত হবে – (আবু দাউদ – ১০৪৬), ৯. এই দিনেই সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে – (আবু দাউদ – ১০৪৭), ১০. নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগন, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র সবই জুম’আর দিনে শংকিত হয়। – (ইবনে মাজাহ – ১০৮৪; মুয়াত্তা ইমাম মালেক)।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ