বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

‘বেঁচে থাকবো হালাল রুজি খেয়ে; হারাম ছুঁয়েও দেখবো না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
আওযার ইসলাম

পুঁজিবাদি এ যুগে হালাল রুজি যেন সোনার হরিণ। শত চেষ্টা সত্ত্বেও হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর এবং প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে মনে যদি সাহস আর ভরসা থাকে আল্লাহর ওপর তাহলে অবশ্যই সম্ভব, এমনটাই করে দেখিয়েছেন সাভারের এক ব্যবসায়ী।

নামাজের সময় নামাজ পড়েন ব্যবসা বন্ধ রেখে। রমজান মাসে যেন শিশা ঢেলে প্রাচির গড়েন ব্যবসা ও নিজের মধ্যে থাকা সম্পর্কের মাঝে। বাকি এগারো মাসে যা উপার্জন করেন তা থেকে কিছু কিছু আলাদা করে রাখেন যাতে রমজানে ব্যবসায় থেকে বিরত থাকা যায়।

বলছিলাম এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার কথা। ধন-সম্পদে অঢেল তেমন কিছুই নেই। মানুষটি ব্যবসা করেন মাত্র চার থেকে পাঁচঘন্টা। সকালে কোনো স্কুল বা মাদরাসার মাঠে দু’ঘন্টা মুড়ি বিক্রি করে দুপুরে বাড়ি ফিরেন। বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটের দিকে দ্বিতীয়বার ছুটেন আহারের জোগান দিতে।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মানসিকতা ও সুস্বাদু ঝালমুড়ি তৈরিতে পারদর্শি হওয়ায় তার দোকানে ভিড় লেগে থাকে সবসময়ই। দুই হাতই নানারকমের মশলা আর মুড়িতে ব্যস্ত থাকলেও কান দু'টো বরাবরই আজানের অপেক্ষায় থাকে। আজান হলে বিক্রি বন্ধ করে আশপাশের কোনো মসজিদে ঢুকে নামাজ আদায় করেন।

কিছুটা অনুসন্ধানী চোখে একদিন তার কাজকর্মে গাঢ় নজর দিয়ে লজ্জায় পড়তে হলো। নামাজান্তে তিনি যে আমলগুলো আদায় করেন খুব কম মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা এগুলোতে অভ্যস্ত। চার কুল পড়ে কিছুটা শব্দ করেই পড়তে থাকেন সুরা হাসর। জিকির ও আল্লাহর স্বরণে যেন হরদমেই নড়তে থাকে তার মুখ।

সাভারের এ ঝালমুড়ি বিক্রেতা থাকেন মজিদপুরে। প্রতিদিন এর আশপাশেই মুরি বিক্রি করেন।  জীবিকার তাগিদে ফরিদপুর ছেড়ে ঢাকায় আসেন প্রায় ১০ বছর হলো। কখনো কঠিন অভাবে পড়েন নি এমন স্বীকারুক্তিও দিলেন অনায়সেই।

বয়স ষাটোর্ধ্ব। তবে ক্লান্তি বা অসুস্থতা ধরে নি, তার চলাফেরা বলে দেয় তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ। ছেলে মেয়েদের বোঝা হতেও রাজি নন পরিশ্রমী ও কর্মঠ এই মানুষটি। জীবনযুদ্ধে লড়ে যেতে চান মৃত্যু পর্যন্ত।

তার একটাই কথা, বেঁচে থাকবো হালাল রুজি খেয়ে। হারাম পয়সা ছুঁয়েও দেখবো না কোনদিন। খালেছ ইবাদত আর হালাল রুজিকে আমৃত্যু ধরে রাখবো ইনশাআল্লাহ।

মেয়র আ জ ম নাসিরের প্রতি খোলা চিঠি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ