বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

রসিকের ১৭৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) সাবেক মেয়রের আমলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭৭ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আকতার হোসেন আজাদ।

এদিকে ১৭৭ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করে শূন্যপদে নতুন করে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেয়ারও পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে নিয়োগের অনুমতি চেয়ে ৩ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন সিটি মেয়র।

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। তখন ৫০১ জন কর্মচারীর মধ্যে ২০৫ জনের চাকরি স্থায়ী হলেও ২৯৬ জন কর্মচারী অস্থায়ী থেকে যান।

এদের মধ্যে রংপুর পৌরসভার মেয়র থাকাকালে আব্দুর রউফ মানিক ১১৯ জন এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর আমলে ১৭৭ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। এসব কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করছিলেন।

কিন্তু বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয়ার পর ৪ মার্চ ২৯৬ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। তাদের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি গত রোববার মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দেয়।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আকতার হোসেন আজাদ বলেন, আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি, তাদের নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তাই অস্থায়ীভাবে নিয়োাগ পাওয়া ১৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কাছে থাকা সব ফাইলপত্র বুঝিয়ে দিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের চাকরিচ্যুত সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা গোলজার হোসেন আদর বলেন, আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আমি আমার কাছে থাকা ফাইল বুঝিয়ে দিয়েছি।

আরো পড়ুন- মহিমান্বিত রমজানে মধ্যরাতে জেগে উঠলো রোজাদার


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ