রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতির গ্রাসে পরিণত হচ্ছে দেশ : নিস্তারের উপায় কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
কবি, কলামিস্ট ও সাংবাদিক

গণমাধ্যমে প্রকাশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৭ সালে ২৩ সরকারি সংস্থা ও বিভাগের দুর্নীতি খুঁজে বের করতে পরিচালক ও উপপরিচালকদের নিয়ে ২৫টি টিম গঠন করেছিল । সম্প্রতি এর মধ্যে ১০ টিমের অনুসন্ধানে সরকারের ১০ খাতের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র ওঠে এসেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাতিষ্ঠানিক টিমের পাওয়া ১০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর রয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত।

এছাড়া তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভূমি, গণপূর্ত অধিদফতর, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অন্যতম।জানা গেছে, দুদক ইতিমধ্যে ১০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে ৯০ দফা সুপারিশ পাঠিয়েছে।

দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানে এটা স্পষ্ট, দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোয় দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে মূলত লুটপাটের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে। আর এতে করে দিন দিন রাষ্ট্রের মূল ভিত নড়বড়ে হয়ে ওঠছে । এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

বলতে চাচ্ছি, দারিদ্র্য বিমোচন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বেড়ে ৭১.৬ বছর হওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়াসহ অন্যান্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন আশাপ্রদ হলেও দুর্নীতির বিস্তার সবকিছু গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে, যা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি।

এ কথা স্বীকার করতেই হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোয় বিরাজমান লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করছে এবং এর ফলে প্রান্তিক ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় বলতে হয়, দুর্নীতি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকার অর্জনে বড় বাধা।কিন্তু এসব মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকারের আন্তরিক ভূমিকা কাম্য হলেও উদ্বেগের বিষয় হলোÑ এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কার্যকর ও দৃশ্যমান শক্ত কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যাচ্ছে না।

দুর্নীতি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে, এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই। কাজেই দুর্নীতি রোধে সরকারের আরও বেশি কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

একইসঙ্গে দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি হঠাতে হলে আইনের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।কারণ মানুষ যদি দুর্নীতির কুফল সম্পর্কে অবহিত হয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হবে বলে আশা করা যায়।

soyedfaizul@gmail.com
০২ মে ২০১৮


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ