সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা ‘পাকিস্তানের পক্ষে ২ কোটি শিখ’, ভারতকে হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতার জামায়াতের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হজসেবায় অত্যাধুনিক মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু হচ্ছে সোমবার  নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : আমিরে মজলিস দাওরায়ে হাদিস পাসে চাকরি দিচ্ছে বোনাফাইড টেক্সটাইল ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না : খেলাফত আন্দোলন ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার যে সূচনা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে’ ‘ইসলামীবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে’

আরব আমিরাতের আট নারীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক ধনাঢ্য পরিবারের আটজন নারীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে বেলজিয়ামের আদালতে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ – কাজের অনুমতিপত্র ছাড়া গৃহপরিচারিকাদের ইউরোপে এনে অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করেছেন৷

ধনাঢ্য পরিবারটি অঢেল সম্পদ ও অর্থের জন্য সারা বিশ্বেই পরিচিত৷ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব কিনে পরিবারটি প্রথম আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে আসে৷

সেই পরিবারের শেখা আল নেহায়ান ২০০৮ সালে তাঁর সাত কন্যাকে নিয়ে এসেছিলেন বেলজিয়ামে৷ রাজধানী ব্রাসেলসের কনরাড হোটেলে লাক্সারি স্যুটে ছিলেন তাঁরা৷ ছিলেন কয়েক মাস৷ অভিজাত পরিবারের সদস্যদের বিলাসবহুল কক্ষে অবস্থান কোনো সংবাদ শিরোনামে আসতো না সঙ্গে এক দল গৃহপরিচারিকাকেও নিয়ে না এলে৷ শেখ আল-নেহায়ান এবং তাঁর মেয়েদের সেবা-যত্নের জন্য আনা হয়েছিল ২০ জন গৃহপরিচারিকা৷

ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী, ‘ওয়ার্ক পারমিট', অর্থাৎ কাজের অনুমতি নিয়েই শুধু গৃহপরিচারিকা বা অন্য কোনো কর্মীকে সঙ্গে আনা যায়৷ অথচ ওই ২০ জন গৃহকর্মীকে আনা হয়েছিল কাজের অনুমতিপত্র ছাড়া৷ অবৈধভাবে এনে তাদের সঙ্গে ন্যূনতম মানবিক আচরণও করা হয়নি৷ ধনাঢ্য পরিবারের নারীরা লাক্সারি স্যুটে থাকলেও সেবা-যত্নকারীদের শুতে হতো মাটিতে৷ পর্যাপ্ত খাবার দেয়া হতো না৷ কিন্তু খাটানো হতো প্রায় ২৪ ঘণ্টা৷ দিন-রাতের যে কোনো সময় ডাক পড়তো৷ পান থেকে চুন খসলেই শুরু হতো চিৎকার-চেঁচামেচি এবং নানা ধরনের হুমকি-ধামকি৷ এক গৃহকর্মী পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ না জানালে  ইউরোপের বুকে,  অভিজাত হোটেলে ২০ নারীর এমন মানবেতর জীবনযাপনের খবর কোনোদিন হয়ত জানাই যেত না৷

 অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ৷ জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিজাত পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই সত্য৷ অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর মামলাও হয় বেলজিয়ামের আদালতে৷


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ