রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

দেওবন্দে সাহিত্য মজলিসের ছুটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

deubon_mojlish

দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিনিধি: বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে গত সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো বাঙালি ছাত্রদের সাহিত্য মজলিসের সমাপনী সভা৷ বাঙালি তরুণদের উদ্যোগে আয়োজিত আড্ডায় বরাবরের মতো গতকালও আসরের প্রধান আলোচক ছিলেন মজলিস পরিচালক তরুণ লেখক ও কবি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ৷

সাপ্তাহিক আলোচ্য বিষয় ‘ছড়া-কবিতা কী, লিখতে হয় কীভাবে?’র ওপর গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তিনি৷ ছড়া-কবিতার ছন্দ, পার্থক্য, সাহিত্যে তার অবস্থানসহ নানাদিক তুলে ধরেন আলাপে আলাপে৷ মজলিসের সমাপনী আসর হওয়ায় গতকাল সাহিত্যের সমকালীন অন্যান্য প্রসঙ্গও উঠে আসে তার কথায় কথায়৷

এরপর উপস্থিত সাহিত্য-সারথিদের মাঝে লেখালেখির উদ্দীপনা বাড়াতে তিনি মধ্যযুগীয় ও আধুনিক কবি, লেখকদের লেখকজীবনের কাহিনি তুলে ধরেন সংক্ষেপে৷ আলোচিত হয় শরৎ, নিমাই, নজরুল, হুমায়ুন, রাহাত খানের জীবনালেখ্যও৷ সঙ্গে নিজের লেখকজীবনের শুরুটাও তুলে ধরেন কবি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ৷ বলেন, ‘লেখালেখি এক চরম সাধনার বিষয়৷ নিয়মিত হওয়া ছাড়া এ জগতে ভালো স্থান অর্জন করা সম্ভব নয় ৷ একজন সফল লেখক হতে হলে লেখার থেকে পড়তে হবে কয়েকগুণ বেশি৷ রোজ দু'বেলা লেখার টেবিলে বসা চাই৷ এর আগে তিনটে শর্ত৷ পড়া, পড়া এবং পড়া৷ এর অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে জীবনবোধ, পৃথিবী দেখা৷ ভালো লেখক হতে হলে ভালো পাঠক হবার পাশাপাশি ভালো দেখকও হতে হয়৷ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিভূতি, শরৎ, জহির রায়হান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সুনীল, আহমদ ছফা, রাহাত খান, হেমন্ত, শমরেশ, হুমায়ূনসহ সমকালীন শেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকদের লেখাও যেনো নিয়মিত পড়ার তালিকা থেকে বাদ না যায়৷'

উপস্থিতিদের লক্ষ্য করে লেখালেখি বিষয়ে দেন আরও নানা পরামর্শ৷ বলেন, ‘একজন সফল লেখক তার নিজের লেখার প্রথম ও প্রধান সম্পাদক হয়ে থাকেন৷ একটি লেখা কমপক্ষে ১০/১৫ বার সম্পাদনা করা চাই৷ বিখ্যাত লেখকদের সবাই এই কাজটি করেছেন বড় যত্নের সঙ্গে৷ আমাদের চোখের সামনেই আছেন আদিব সাহেব (হজরত মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ)৷ তিনি লেখালেখির দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার পরও নিজের একটি লেখা বারবার সম্পাদনা করে থাকেন এখনও৷ এমনকি কোনো বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন বাজারে ছাড়ার আগে কয়েকবার সম্পাদনা করে নেন৷ মার্জিনে মন্তব্য, এসো কলম মেরামত করি, বাংলা লেখার নিয়মকানুন, শুদ্ধিকরণ বইগুলি উল্টে দেখা চাই মাঝেমধ্যে৷ তাহলে লেখা কাটাছেঁড়ার নানাদিক বুঝে আসবে আপনাতেই৷'

এরপর আড্ডার অন্যান্যদের লেখাপাঠ ও বিখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল'-এর ওপর খানিকটা আলোচনা হয়৷ তরুণ লেখক আহমদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডায় সারথীদের মাঝে ছড়াকবিতার ওপর আরও কথা বলেন তারুণ্যদীপ্ত লেখক হাওলাদার জহিরুল ইসলাম, আবু দাউদ তাওহিদ ও আহমদ আবদুল্লাহ৷

উল্লেখ্য, দেওবন্দের তৈয়্যব হাসপাতাল সংলগ্ন বেরুণ কোটলা মসজিদপ্রাঙ্গনে আলোচিত সভাটি আরম্ভ হয় গত মার্চে৷ প্রতি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো সপ্তাহের বৃহষ্পতিবার বাদ মাগরিব থেকে ভারতীয় সময় রাত দশটা অবধি৷ রোজনামচা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য-ফিচার, ছড়াকবিতাসহ সাহিত্য-সাংবাদিকতার প্রায় সব বিভাগ নিয়েই হয় বিস্তর আলোচনা৷ সঙ্গে সারথীদের লেখা দেখা, প্রয়োজনীয় কাটাছেঁড়া করা, কোনো একটি লেখার ওপর পর্যালোচনা করা, শব্দখেলা, সুন্দর সুন্দর বাক্য নির্মাণের কৌশল শেখানো, ইত্যাদি তো ছিলো নিয়মিতই৷

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ