রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক  শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অদৃশ্য শক্তি ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে: তারেক রহমান

অবাক ফেরিওয়ালা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

feriwalaদিহান আহমেদ: বাড়িতে জমিয়ে রাখা পুরনো খবরের কাগজ নিশ্চয়ই বিক্রি করেন। অনেক সময় পুরনো বই, ম্যাগাজিনও বিক্রি করা হয়। এবার থেকে যখন তা করবেন, একটু সাবধান। ভাবছেন, পুরনো কাগজ বা বই বিক্রি করার সময় কেন সতর্ক থাকতে হবে? তাহলে রাজস্থানের এই ঘটনা আপনাকে জানতেই হবে।

রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার এক গৃহবধূ শান্তি ভাদু গত মঙ্গলবার দুই ব্যক্তিকে বাড়ির পুরনো খবরের কাগজ আর কিছু বই বিক্রি করেছিলেন। সুরেন্দ্র এবং শঙ্কর বর্মা নামে যে দুই ভাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরনো কাগজ, লোহা-লক্কড় কেনার ব্যবসা করেন, তাঁরা সেদিন রাতে সারাদিনের সংগৃহীত জিনিসগুলি গুছিয়ে রাখছিলেন।

সেই সময়েই তাঁদের চোখ কপালে ওঠে! কারণ? কাগজ এবং বইয়ের স্তূপের মধ্যে থেকে পাঁচশো এবং একশো টাকার কয়েকটি বান্ডিল বেরিয়ে আসে। পরে জানা যায়, সবমিলিয়ে সেখানে এক লক্ষ টাকা ছিল। ওই দুই ভাই বুঝতে পারেন, কিনে আনা কাগজ এবং বইয়ের মধ্যে থেকেই টাকাটা বেরিয়েছে। কিন্তু সারাদিন ধরে একাধিক বাড়ি থেকে কাগজ, জিনিসপত্র কেনেন তাঁরা। ওই টাকার মালিক আসলে কে, তা বুঝবেন কীভাবে?

সূত্রের খোঁজে সারাদিন কেনা জিনিসগুলি ভাল করে খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। একটি বইয়ে শালু পুনিয়া বলে একজনের নাম লেখা ছিল। সেই নামের সূত্র ধরেই পরের দিন গ্রামে গিয়ে খোঁজ করেন ওই দুই ভাই। গ্রামবাসীদের সাহায্যে তাঁরা জানতে পারেন, শান্তি ভাদু নামে ওই মহিলার নাতনির নাম শালু পুনিয়া। এরপরেই শান্তি ভাদু নামে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে এক লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে আসেন ওই দুই ভাই। ওই মহিলার স্বামী কিশোর ভাদু জানিয়েছেন, পুরনো ধার শোধ করার জন্য আবার এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। নিরাপদে রাখার জন্যই পুরনো বইয়ের মধ্যেই ওই টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী যে সেই টাকা সমেত বই বিক্রি করে দেবেন, তা কে জানত।

যদিও কাগজ এবং পুরনো সামগ্রী কেনা ওই দুই ভাইয়ের সততার জন্য টাকা ফেরত পেয়ে ভাদু দম্পতি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। কিন্তু টাকা ফিরিয়ে দেওয়া দুই ভাই কী বলছেন? সুরেন্দ্র এবং শঙ্করের দাবি, ‘নোটের বান্ডিল দেখে আমাদের চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি। অতজনের মধ্যে টাকার আসল মালিককে কীভাবে চিহ্নিত করব, তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না আমরা।’

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ