সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আকিল মাযাহেরি আর নেই আগামী মাসের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার : প্রধান উপদেষ্টা বজ্রপাতে প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাতে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট ফ্রান্সে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা উচিত নয়: বিজেপি বিধায়ক মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়? মোদি ইসরায়েলের পক্ষে, ইসলাম-মুসলমানের শত্রু: মাওলানা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে হাওরে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ

ট্রাম্প জেতায় শঙ্কিত নই; হিলারি মুখোশপরা নারী: ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

঳ প্রকৃত গণতন্ত্র আমেরিকায় কখনো ছিল না, আসবেও না

঳ মার্কিনিদের এবারের ভোট বিশ্বায়ন নীতির ওপর চপেটাঘাত

farid_masudমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, ট্রাম্প জেতায় আমি শঙ্কিত নই। কারণ ট্রাম্প একজন খোলা মনের মানুষ। তার অন্তরে কী আছে এবং বাইরে কী তা বোঝা সহজ। বিপরীতে হিলারি ক্লিনটন একজন মুখোশে ঢাকা নারী যাকে বোঝা ও চেনা দুষ্কর।

তিনি বলেন, ট্রাম্পকে আমি সমর্থন করছি না। আসলে বলতে চাই ট্রাম্প হিলারি দুজনই মুসলিমদের বিপক্ষে। দুজনই উগ্র ও বদ মেজাজের। অতীতে হিলারি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আমরা দেখেছি বিশ্বের প্রতি তার মনোভাব কেমন ছিল। ক্লিনটন যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তার অসভ্যতার ইতিহাসও আমাদের জানা।

আওয়ার ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক রোকন রাইয়ানকে দেয়া বক্তব্যে মাওলানা মাসঊদ জানান, আমেরিকা যাই বলুক তাদের নির্ধারিত রাষ্ট্রনীতি রয়েছে। এর বাইরে কেউ যেতে পারবে না। এখানে নিজের মতামতকে চাপিয়ে দেয়া কঠিন। নির্ধারিত সিস্টেমের বাইরে ব্যক্তিমতামত প্রতিষ্ঠিত করা প্রায় অসম্ভব। সুতরাং ট্রাম্প নির্বাচনের আগে যা বলেছে তা খুব সহজে প্রতিফলিত করতে পারবে এটা ভাবা বোকামি। তাছাড়া নির্বাচনের আগে অনেক প্রার্থীই নানা কথা বলে থাকে যা পরবর্তীতে কাজের ক্ষেত্রে মিলে না। ট্রাম্পের বিষয়গুলোও এমন হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে একেকটা সময় একেকটা ট্র্যান্ড আসে। এখন সারা বিশ্বে উগ্রবাদের প্রভাব বেশ লক্ষণীয়। বৃটেনে ক্যামেরনকে হটিয়ে ব্যক্সিটের আগমন, জার্মানির নতুন করে মাথা চাড়া দেয়ার চেষ্টা, এসব উগ্রবাদ ট্রাম্পের বিজয়কে সহজ করে দিয়েছে।

এই ভোট মার্কিন নাগরিকদের নিজের দেশের নীতির ওপর চপেটাঘাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা যে বিশ্বায়নের কথা বলে, পরের বিষয়ে সর্বদা নাক গলায় মার্কিনদের এবারের ভোট এসব নীতির ওপর চপেটাঘাত। ভোটারটা ডেমোক্রেটদের বুঝিয়ে দিল অন্যের বিষয়ে নাক গলাতে ব্যস্ত নয় নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে।

অভিবাসীদের বের করে দেয়া ও মুসলিমদের শঙ্কা ইস্যুতে তিনি বলেন, মুসলিমদের এত শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার উগ্র বক্তব্যের প্রভাব বাস্তবে ফলবে না। অতীতের প্রেসিডেন্টরাও কিন্তু মুসলিমদের ব্যাপারে এমনই মনোভাব প্রকাশ করত। কেবল তারা মুখে সেটা বলত না। আর অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে তো তিনি স্পষ্ট বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে। এটা তো অযৌক্তিক কিছু নয়। আমার দেশেও যদি একটা অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ করে আমি তাকে বাধা দেব। এটাই সবার নীতি।

মার্কিন গণতন্ত্র বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র আমেরিকাতেও নেই। ওখানকার নির্বাচনেও বাংলাদেশের মতো কাঁদা ছোড়াছুড়ি দেখলাম। আসলে প্রকৃত গণতন্ত্র আমেরিকায় কখনো ছিল না, আসবেও না। আমেরিকায় গণতন্ত্রের নামে আছে ধোঁকাবাজি।

আরআর

ট্রাম্পের জয় প্রমাণ করল মার্কিনিরা অসভ্যতাকেই সমর্থন করে: উবায়দুর রহমান খান নদভী

আরাকান ও কাশ্মির প্রশ্নে বিশ্ব ও জাতিসংঘ বধির কেন?


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ