রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু-মুসলিম শান্তিপূর্ণভাবেই বাস করছে; সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো চক্রান্তমূলক: মুফতি মুবারকুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mubarakullahফারুক ফেরদৌস: একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। এর সূচনা হয় ফেসবুকে পবিত্র কাবার অবমাননা করে ছবি প্রকাশের মাধ্যমে। এর পর রাতের আঁধারে কে বা কারা হিন্দু দের মন্দির বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর করে। সংবাদ মাধ্যমের হট টপিক হয়ে ওঠে নাসিরনগর। হামলা ভাংচুরের দায়ে মামলা হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের বিরুদ্ধে। গ্রামের পর গ্রাম পুরুষশূন্য। আটক আছে কাবা অবমাননা করে ছবি প্রকাশকারী হিন্দু যুবক রসরাজও। কিন্তু অঘটন থেমে নেই। মাদ্রাসায় দরজায় তালা দেয়া, রাস্তায় কাবার অবমাননাকর ছবি সাটা ইত্যাদি ঘটনা যেসন ঘটে চলেছে, গত বৃহস্পতিবার আবার হিন্দু পল্লীতে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এসব বিষয়ে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে কথা হয় ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জামিয়া ইউনুসিয়ার মুহতামিম আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহর সাথে।

‘কাবা অবমাননা এবং হিন্দুদের বাড়ি ঘরে আগুন উভয় ঘটনাই চক্রান্তমূলক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকারের সাথে আলেম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ জন সাধারণের দূরত্ব তৈরি করার জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। সরকারের উচিত তদন্ত করে এর পেছনের হোতাদের খুঁজে বের করা।’

সরকার ঘটনার পেছনের মূল কুচক্রিদের ধরতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মনে করেন ‍তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের এবং যারা উত্তেজনা তৈরি করেছে সবাইকেই দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

মুফতি মুবারকুল্লাহ বলেন, হিন্দু মুসলমান এই অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে এসেছে সব সময়। যারা উত্তেজনা তৈরি করেছে, যারা বাড়ি ঘরে হামলা করেছে এরা গুটিকয়েক দুস্কৃতিকারী। এদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই এরকম ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে।

সংবাদ মাধ্যমগুলো বিষয়টা নিয়ে অতিরিক্ত হৈ চৈ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনা যা ঘটেছে স্থানীয়ভাবেই এর বিহিত করা যেত। যা ঘটেছে তার চেয়ে বেশি প্রচার করা হচ্ছে। বাড়াবাড়ি রকমের হৈ চৈ করে ঘটনাটাকে বড় বানানো হয়েছে।

হিন্দু সম্প্রদায়কে একজন মন্ত্রীর মালাউন বলা প্রসঙ্গে আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ বলেন, ‘মালাউন শব্দটা এখন এখন একটা গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একজন মন্ত্রীর এভাবে একটি গোটা সম্প্রদায়কে গালি দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কীভাবে সম্প্রীতির পরিবেশ পুন:প্রতিষ্ঠিত হবে সবাই মিলে এখন সেই চেষ্টাই করা দরকার।’

এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ