রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’

স্বাগত বক্তব্যের পর আল্লামা শফী’র লিখিত বক্তব্য পাঠ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

olama_sommelan5আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসার স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ওলামা সম্মেলনের মূল পর্ব শুরু হয় সকাল ১০.৩০ মিনিটে। এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সম্মেলনে পৌঁছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

জানা যায়, জামিয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদের প্রিন্সিপাল মাওলানা মোস্তাফা আজাদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়। তিনি বলেন, সনদের স্বীকৃতির নাম করে কওমি মাদরাসাকে নিয়ন্ত্রণ করার পায়তারা চলছে। আমরা এ হস্তক্ষেপ মেনে নিতে পারি না।

আওয়ার ইসলামের বিশেষ প্রতিনিধি দিদার শফিক জানান, সকাল ১০.৪০ মিনিটে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র পক্ষ থেকে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রেস সচিব মাওলানা মুনীর আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমি বারবার বলে আসছি সনদের স্বীকৃতির নামে নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপের মতো কিছু হলে তা কওমি মাদরাসা মানবে না। আলেম ওলামা কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বীকৃতি চায়। স্বীকৃতি হলে সেভাবেই হতে হবে।

আল্লামা আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেওবন্দের মূলনীতি অক্ষুন্ন রেখে দেওবন্দের আদলে অন্যান্য আঞ্চলিক বোর্ড এর সমন্বয়ে বেফাকের অধীনে কওমি সনদের মান দিতে হবে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে দেওবন্দের সনদকে সরকারিভাবে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল নিকট অতীতে তা স্বাধীন বাংলাদেশে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেই ধারা পূনরায় বলবৎ করা হোক। সনদের মান দিতে হলে সরকারকে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার মতো কওমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে।কওমি সিলেবাসকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। নচেৎ আমরা সনদের সরকারি স্বীকৃতি চাই না কওমি মাদরাসাকে এমপিওভূক্ত করা যাবে না, সরকারি অনুদান দেওয়া যাবে না। সবধরণের নিয়ন্ত্রণ ও নিবন্ধনের শর্ত থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন, জামিয়া রাহমানিয়ার’র প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক ও জামিয়া ইসলামবাগের মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী।

মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী, জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী, হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হালিম, কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া’র প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার শাহ, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ