একটি সুশিক্ষিত জাতি মানেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশীল বিশ্ব। আর ধর্মহীন, নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা কখনোই আদর্শ শিক্ষা হতে পারে না। অতএব, শিক্ষা এবং ধর্মীয় দীক্ষা-এই দুয়ের মিলনের নামই হচ্ছে সুশিক্ষা। তাই একজন আদর্শ মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় সফল ভূমিকা রাখতে সুশিক্ষা তথা ধর্মীয় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
শাহীন শিক্ষা পরিবার এ বিষয়টিকে শুরু থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এসেছে। আদর্শ ও সুশিক্ষিত জাতি গঠনের এই প্রান্তিকতা দূর করার লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা তথা প্রয়োজনীয় দীনি শিক্ষার এক অপূর্ব সমন্বয় স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শাহীন শিক্ষা পরিবার ইতোমধ্যে দেশব্যাপী স্কুল+মাদরাসা=যুগোপযোগী ইসলামিক শিক্ষার একটি সর্বাধুনিক এবং সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শিক্ষাব্যবস্থার সূচনা করেছে, যা অতি স্বল্প সময়ে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে অত্যন্ত সুখ্যাতি অর্জন করেছে এবং সচেতন ও ধর্মপ্রাণ শিক্ষিত সমাজে ব্যাপক আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
এই শিক্ষা আন্দোলনের লক্ষ্য হলো দেশ ও সমাজকে এমন একটি সৎ, আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ জাতি উপহার দেওয়া, যারা যুগপৎ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কর্মদক্ষতায়ও হবে সবার সেরা। এটা মূলত নতুন কোনো চিন্তা বা উদ্যোগ নয় বরং মুসলিম উম্মাহর হারানো গৌরবময় ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্জীবন দান করারই একটি প্রচেষ্টা।
গবেষণালব্ধ বিশেষ এই কারিকুলাম অনুযায়ী প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বোচ্চ মানের স্কুল শিক্ষার পাশাপাশি কুরআনিক শিক্ষা তথা ইসলাম ও নৈতিকতা শিক্ষাকে এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যে, একজন শিক্ষার্থীকে স্কুলে পড়েও কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী নিজের ঈমান, আমল ও আকিদা বিশুদ্ধ এবং সুরক্ষিত রাখতে বেগ পেতে হয় না।
শাহীন ইসলামিক স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার মতো উন্নত জেনারেল শিক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি বিশুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারা, সহিহ পদ্ধতিতে সালাত আদায় করতে পারা, আরবি ভাষা ও ব্যাকরণে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করাসহ আরবি ভাষায় লিখিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ফিকাহ ও হাদিস বিষয়ক কিতাব থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করার দক্ষতা তৈরি হয়। সর্বোপরি পুরো ৩০ পারা কুরআনে কারিম অর্থ বুঝে পড়ারও যোগ্যতা হয়।
যেখানে ব্যতিক্রম শাহীন ইসলামিক স্কুল: শাহীন ইসলামি স্কুল বেশ কিছু ক্ষেত্রে অন্য অনেকের চেয়ে ব্যতিক্রম। যেমন-
আমল-আখলাক তথা নৈতিক শিক্ষাদান ও সুন্নাহ্ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি ক্লাসরুম এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা।
সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক শাস্তিমুক্ত এবং সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা সুরক্ষিত ঘরোয়া পরিবেশ। ২৪ ঘণ্টা সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা।
আরবি ও জেনারেল সাবজেক্টস তথা বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়সমূহ সমান গুরুত্বসহকারে পাঠদান।
প্রতিটি ক্লাসে ইংরেজি ভাষায় পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক ইংরেজি শোনা ও বলার পরিবেশে রেখে ইংরেজিতে দক্ষ করে তোলার সুব্যবস্থা ।
বিশেষ পদ্ধতিতে নুরানী পরবর্তী চতুর্থ শ্রেণি হতে জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি সাত মাসে আরবি ভাষা শিক্ষাদানসহ মেধা অনুযায়ী গ্রুপভিত্তিক হিফমুল কুরআনের সুব্যবস্থা।
চতুর্থ শ্রেণি হতেই ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক বিশেষ কারিকুলামে পাঠদান।
এসি/নন-এসি বেডরুম সমৃদ্ধ উন্নত আবাসিক ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত হিফজুল কুরআন বিভাগ। সর্বোচ্চ পাঁচ মাসে প্রি-হিফজ তথা নাজেরা সম্পন্ন করে হিফজ গ্রহণের নিশ্চয়তাসহ হিফজ চলাকালীন দৈনিক দেড় ঘণ্টা জেনারেল ক্লাস ও Spoken English শেখার সুব্যবস্থা।
সুদক্ষ, পরিশ্রমী এবং শিশুদের প্রতি আন্তরিক এমন অভিজ্ঞ ও আমলওয়ালা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে পাঠদান।
ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেখানোর নিশ্চয়তা। প্রাইভেট/কোচিংয়ের দরকার হবে না।
শাহীন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড নুরানি মাদরাসার শাখাসমূহ-
রেজিস্ট্রিপাড়া, টাঙ্গাইল
৫ ০১৬১৭-২৮৮১
জামালপুর সদর
আল-কুর পাড়, টাঙ্গাইল
৫ ০১৬১৭-৫-২৮৮২
বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল
৫ ০১৬১৭-৩-২৮৮৪
চৌরাস্তা, গাজীপুর
মির্জাপুর, টাঙ্গাইল পাথরাইল, টাঙ্গাইল
৫ ০১৭২১-৯৫১৪৬
মাওনা, গাজীপুর
এসএকে/