ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সেই সঙ্গে ওই সময় ব্যবহৃত হামলাকারীদের পরিহিত হেলমেট ও মোটরসাইকেলটির ভুয়া নম্বর প্লেটও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
আজ বুধবার ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এগুলো উদ্ধার করা হয়।
সিটিটিসি সূত্র জানা যায়, সিটিটিসির একটি দল সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়টি উদ্ঘাটন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরে বাংলা নগরের পশ্চিম আগারগাঁও বনলতা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে ওই ভবনের নিচতলার পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল ও হেলমেটটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভুয়া নম্বর প্লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় ম্যানহোলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, দুই দুর্বৃত্ত যে মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করে সেটির নম্বরপ্লেটটিতে ইংরেজিতে লেখা ছিল— DHAKA METRO-LA 54-6376। তবে সিটিটিসি উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটিকে নম্বরপ্লেটে লেখা রয়েছে— ঢাকা মেট্রো- ল ৫৪-৬৫৭৪।
হাদির ওপর গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার করেছে সিটিটিসি। ছবি: ডিএমপি
হাদির ওপর গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার করেছে সিটিটিসি। ছবি: ডিএমপি
সিটিটিসি আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির মালিকানা শনাক্তে নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হয়। হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে জনৈক শহিদুল, রাসেল, মার্কেটপ্লেস, ওবায়দুল ইসলাম, আনারুল, আনারুলের কাছ থেকে আবারও ওবায়দুল হয়ে শুভ নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি কেনেন। সর্বমোট ৮ ব্যক্তির হাতবদল হয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে মাইনুদ্দিন ইসলামের নামে মোটরসাইকেলটি কেনা হয়। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট এবং ভুয়া নম্বর প্লেটটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরএইচ/