বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

লগি-বৈঠার তাণ্ডব: বিচারের চেয়ে নাটোরে জামায়াতের সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাটোর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর শহর এবং সদর থানা শাখার উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর  আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলীয় জোটের লগি-বৈঠার তাণ্ডবে দোষীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে নাটোর শহর এবং সদর থানা শাখার উদ্যোগে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাস টার্মিনালে এই সমাবেশ হয়।

সদর থানা আমির মীর নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে এবং শহর আমির রাশেদুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- নাটোর জেলা নায়েবে ইউনুস আলী, দেলোয়ার হোসেন খান, সেক্রেটারি সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল ও ড. জিয়াউল হক জিয়া।

প্রধান অতিথি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পথ ধরেই আওয়ামী লীগ দেশে যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন থেকেই দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে পল্টনের বায়তুল মোকারম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ জনসভায় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে এবং শত শত নেতাকর্মীকে আহত করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি, জামায়াত নেতাকর্মীদের হত্যা করে তারা লাশের উপর নৃত্য করেছিল। গোটা বিশ্ববাসী তা দেখেছিল।

২৮ অক্টোবরের নারকীয় গণহত্যার সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু স্বৈরাচারী সরকার সেই মামলা প্রত্যাহার করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। আমরা দাবি জানাই, ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার তাণ্ডবের সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং গণহত্যার সাথে জড়িত দল হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ