সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ডিজিটাল বিভাগে লোকবল নেবে ঢাকা মেইল আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় শায়খ আহমাদুল্লাহর শোক নির্বাচনে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় ‘কঠোর আন্দোলন’: বাকৃবি শিক্ষার্থীরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ইসরায়েলের! আরো ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ছোটকাল থেকেই বাচ্চাদের জিদ নিয়ন্ত্রণের ১০ কৌশল ইমামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্তকে জুতাপেটা, সালিশে মীমাংসা নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, নেওয়া হবে কেবিনে

পাগড়ি পরা হলো না ৩ হাফেজের


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাসুদ রানা: রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন মাদরাসাশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো–ওমর ফারুক, রবিউল ইসলাম ও জুনায়েদ ইসলাম। তারা আশকোনা এলাকার ‘মাহাদু সুন্নাহ’ নামে মাদসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।

ওমর ফারুক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার রূপসী-গন্দকপুর গ্রামের মো. রাজন মিয়ার ছেলে। রবিউল ইসলাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রহিম মিয়ার ছেলে এবং জুনায়েদ ইসলাম লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে দক্ষিণখান আশকোনা আশিয়ান সিটি এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রবিউল ইসলাম। এরপর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতেলে মারা যায় জুনায়েদ। আর ওমর ফারুকের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গত রাতে তিনজনের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওমরের বাবা রাজন মিয়া জানান, শুক্রবার হাফেজি পাশ করায় তাকে পাগড়ি দেওয়ার কথা ছিল। তাই বিকেলে রূপগঞ্জ থেকে মাদরাসায় ছেলেকে দেখতে যান তিনি।

রাজন মিয়া বলেন, ‘ওই সময় মাদরাসায় হাফেজি পাস করা ছাত্রদের পাগড়ি পরানোর মাহফিল হচ্ছিল। আমি মাহফিলে অংশ নিতে যাওয়ার সময় ছেলে আমাকে বলে বাবা মোটরসাইকেলের চাবিটি দাও আমি সাইড করে রাখি। অথচ সে আমার অগোচরে মোটরসাইকেলে তার আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে দক্ষিণখান এলাকায় ঘুরতে  যায়। পরে আমি সংবাদ পাই আমার ছেলে নাকি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান আমার ছেলে আর বেঁচে নেই।’

দক্ষিণ খানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা তিনজনই কুরআনে হাফেজ। হাফেজি শেষ করায় তাদের শুক্রবার পাগড়ি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। ওমর ফারুক তার বাবার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে তিন বন্ধুসহ আশকোনা আশিয়ান সিটি এলাকায় অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। এ সময় তাদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ