সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

শুরু হচ্ছে ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী স্টিল-আর্চ ব্রিজের কাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আলী যুবায়ের খান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের বহুল প্রত্যাশিত ব্রহ্মপুত্র নদের উপর কেওয়াটখালী স্টিল-আর্চ ব্রিজের নির্মাণ কাজ এ বছরের অক্টোবরে শুরু হতে যাচ্ছে। ১ এক হাজার ১০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ করতে প্রায় তিন বছর লাগবে।

মূল সেতুর ৩২০ মিটার অত্যাধুনিক স্টীল -আর্চ এবং ৭৮০ মিটার এপ্রোচ সেতু নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ৫৫১ মিটার সড়ক ওভারপাস ও ২৪০ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস এবং ৬.২০ কিলোমিটার SMVT (Slow Moving Vehicular Traffic) লেনসহ ৪-লেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে।

এতে মূল সেতু সংলগ্ন একটি টোল প্লাজা ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। ব্রিজ হেলথ মনিটরিং সিস্টেমের জন্য একটি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সেইসাথে ইউটিলিটি ডাক্টও থাকবে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রস্তাবিত প্রকল্পটির সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ২ শত ৬৩ কোটি টাকা যার মধ্যে মূল সেতুতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। ‘চায়না স্টেইট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ এবং ‘স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশ’ এ দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করবে সেতুটির।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: শওকত আলী বলেন, কেওয়াটখালী সেতু হবে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ সেতু। সেতুটি নির্মাণ হলে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটবে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে অবস্থিত স্থলবন্দর, ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ স্থাপন সুগম করবে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি উন্মোচিত হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার। এর মাধ্যমে প্রসার ঘটবে এ অঞ্চলের পর্যটন খাত।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যপ্তির ফলশ্রুতিতে প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং দেশের জাতীয় অর্থনীতি ও জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ