বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন এক ভক্ত তারেক রহমানের ফ্লাইটে দেশে ফিরতে নেতাকর্মীদের হিড়িক, সব টিকিট বিক্রি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতের 'নসিহত' অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ‘মামলা না থাকলেও’ গ্রেপ্তারের নির্দেশ ৬ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ বিবৃতি দিল ছাত্রশিবিরসহ ১৮ ছাত্রসংগঠন ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ

ইসলামী ব্যাংকের জমি কিনে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মতিঝিল এলাকায় সেনা কল্যাণ ভবনের পাশে কিনে রাখা বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জমি কিনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০ বছর আগে প্রধান কার্যালয়ের জন্য জমিটি কিনেছিল ইসলামী ব্যাংক। ওই জমি ১১০ কোটি টাকায় কিনে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক এমন এক সময়ে এই জমি কিনল, যখন সঙ্কটে পড়ে প্রতিনিয়ত ইসলামী ব্যাংককে তারল্য সহায়তা নিতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীতি ছাড়ও পেয়েছে ব্যাংকটি। বিশেষ সুবিধার আওতায় তারল্য জোগানও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গভর্নর আতিউর রহমান থাকাকালেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখনই এক প্রকার দামদরও ঠিক করা হয়েছিল। নানা সময়ে আলোচনা করার পরেও ইসলামী ব্যাংক জমিটি ছাড়তে রাজি হয়নি।

সূত্রগুলো জানায়, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে যোগ দেয়ার পর এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ান। এ সময় ব্যাংকটিও নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে। ফলে ব্যাংকটির মালিকপক্ষ জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি জমির দলিল সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে জমির দাম ব্যাংকটিকে পরিশোধ করে দিয়েছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, জমি কেনার পর ভাঙা হচ্ছে ওই স্থাপনা। ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক সেনাকল্যাণ ভবন সংলগ্ন জমি থেকে তাদের বিভাগগুলো সরিয়ে ফেলেছে।

জমি ক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য আমরা জায়গাটি কিনেছিলাম। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। জায়গাটি বাংলাদেশ ব্যাংক-সংলগ্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগ্রহ প্রকাশ করায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা রয়েছে ওই জমিতে দ্রুততম সময়ে সর্বাধুনিক সুবিধা ও নিরাপত্তাসংবলিত একটি ভবন তৈরির কাজ শুরু করা। কারণ বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব যে দুটি ভবন রয়েছে, তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এজন্য সেনা কল্যাণ ভবনের বেশির ভাগ তলা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ