রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

ফেব্রুয়ারিতে এলো ১৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকার প্রবাসী আয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় আড়াই শতাংশ। তবুও যেন আশানুরূপ রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসছে না দেশে। ডলার সংকটের এই সময়ে রেমিট্যান্সের পাল্লা ভারি হলে রিজার্ভ কিছুটা ভারি হতো- এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে তাদের আশা আগামীতে দেশের দুই ধর্মীয় উৎসবকে (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) কেন্দ্র করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে।

সদ্য বিদায়ী মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৭ টাকা ধরে) প্রায় ১৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। এটি তার আগের মাস জানুয়ারির চেয়ে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম। তবে গত বছরের (২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি) একই সময়ের চেয়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

আজ বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের সদ্য বিদায়ী মাস ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে আলোচ্য মাসে প্রতিদিন আসে প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা প্রায় ৫৯৬ কোটি টাকার বেশি। আগের মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। সে হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম এসেছে। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার বেশি এসেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

আলাচিত সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, বিদেশি হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। তবে আগামীতে দুইটি বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা রয়েছে। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণ আসবে।

অন্যদিকে ডলার সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রায় ৯৮০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের ইতিহাসে পুরো অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে এত পরিমাণ ডলার বিক্রি হয়নি। মূলত জরুরি আমদানির দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে এসব ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়। অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

দুই মাস দুই বিলিয়ন ডলার করে এলেও পরের মাস থেকে কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ। যা দেড় বিলিয়ন বা তার কাছাকাছি চলে আসে। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এরপর নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে আসে ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর পরের মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে এলো ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ