শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

নারীদের পর্দার বিষয়ে মুফতি তাকি উসমানির মূল্যবান নসিহা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহিন মিয়া।।

হে নারী! তোমরা একথা ভেবো না যে, পর্দা তো আমাদের জন্য এক আপদ। বরং জেনে রেখো! নারী জন্মের স্বাভাবিক কথাই হচ্ছে পর্দা বা হিযাব। ‘আওরাত’ নারী শব্দের অর্থ হচ্ছে- গোপনীয় বস্ত বা বিষয়। তাই পর্দা নারী জাতির জন্য এক প্রাকৃতিক বিষয়। সুতরাং যদি নারী-প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়মের বিকৃতি ঘটে, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা নেই। যে প্রশান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা পর্দার ভিতর রয়েছে, তার এক বিন্দুও উচ্ছৃঙ্খল দেহ-প্রদর্শনীর মাঝে নেই। তাই পর্দা নারীর আত্বসম্ভ্রমবোধের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মনে হচ্ছে যেন হুযুর সা.-এর অন্তদৃষ্টি আজকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছিল। তিনি বলেছিলেন, কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে এমন কিছু ‘নারী’ দেখা যাবে, যাদের চুল হবে ক্ষীণকায় উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ। চুলের ফ্যাশন উটের পিঠের হাড্ডিসদৃশ উঁচু হওয়ার কথা মহানবী সা.-এর যুগে কল্পনাও করা যেত না। অথচ আধুনিক যুগের ফ্যাশন দেখুন! ঠিক যেন তেমনই চুল নারীরা রাখাছে যেমনটা মহানবী সা. বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, যে সকল নারী দৃশ্যত পোশাক পরিহিতা হবে, কিন্ত সে পোশাক এমন যে তার মাধ্যমে সতরের উদ্দশ্য অর্জিত হয় না। কেননা, সে পোশাক এত বেশি পাতলা বা আঁটসাটঁ, যার ফলে দেহের কাঠামো, এমনকি অন্তর্বাস পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়, এসব মূলত শালীনতাবোধ নিঃশেষ হওয়ারই ফলাফল। ইতঃপূর্বে নারীরা এসব পোশাক পড়বে বলে কল্পনাও করা যেত না। তাদের অন্তরে জাগ্রত ছিল আত্বসম্ভ্রমবোধ। তাদের মন-মস্তিষ্ক এরুপ পোশাক পড়তে সায় দিত না। অথচ আজকের নারীরা পরছে সংক্ষিপ্ত বোকখোলা, বাহুখোলা বড় গলার পোশাক! এ কেমন পোশাক! পোশাক তো সতর ঢাকার জন্য ছিল। ছিল নারী জন্মের স্বার্থকতাকে আরও সার্থক করে তোলার জন্যে! অথচ আজ সে পোশাক সতর ঢাকার স্থলে দেহপ্রদর্শনীর কজেই ব্যবহার করা হচ্ছে!!

আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে অশালীন ‍দৃশ্য ওসব বাড়িতেও দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি করে। যেসব বাড়ির পুরুষরা মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে; তাদের বিয়ের কোনো এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ‍দেখুন, সেখানে কী হচ্ছে! বিয়ে বাড়িতে নারী-পুরৃুষের অবাধ মেলামেশার কথা এক সময় ভাবাও যেত না।

অথচ বর্তমানে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ দাওয়াতের সয়লাব চলছে। নারীরাও আজ অশালীন অঙ্গভঙ্গি নিয়ে, প্রসাধনী মেখে, সাজ-সজ্জায় সজ্জিাঁ হয়ে নির্দ্ধিধায় ওসব দাওয়াতে অংশ নিচ্ছে। যেখানে না ভাবা হচ্ছে পর্দার কথা! আর না তোয়াক্কা করা হচ্ছে লাজ-শরমের। সুত্র: ইসলাহী খুতুবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ