সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি দেশবাসী দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত: জামায়াত সেক্রেটারি

রাসুলের খাদেম হযরত আনাস ইবনে মালেক আনসারি রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুসাইন আহমাদ খান ।।

তিনি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন যারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংস্পর্শে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন এবং তাকে কাছ থেকে দেখেছেন। হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. আল্লাহর রাসুলের খেদমত করেছেন দীর্ঘ দশ বছর । সাড়া দিয়েছেন রাসুলের যেকোন প্রয়োজনে ।এর মাধ্যমে লাভ করেছেন রাসুলের স্নেহ ও ভালোবাসা। নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন রাসুলের আমল-আখলাক ও মেজাজ-বৈশিষ্ট্য।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন তখন হযরত আনাস ইবনে মালেক রা.এর বয়স মাত্র দশ বছর। এই সময় তার মা হযরত উম্মে সুলাইম রুমাইসা বিনতে মিলহান রা. তাকে রাসুলের খেদমতে রেখে যান। এরপর থেকে রাসুলের ওফাত পর্যন্ত তিনি তার সেবায় নিয়োজিত থাকেন। হয়ে উঠেন নবিপরিবারের একজন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আদর করে ‘উনাইস’ বলে ডাকতেন। আর কখনো কখনো ডাকতেন ‘আমার পুত্র’ বলে।

রাসুলের ওফাতের পর হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. রাসুলের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব স্মৃতিচারণ করতেন। সবচেয়ে বেশি বলতেন রাসুলের সাথে তার প্রথম সাক্ষাত এবং তার বিচ্ছেদের দিনের কথা। যখন তিনি প্রথম দিনের কথা বলতেন তখন খুব গর্ববোধ করতেন এবং খুবই আনন্দিত হতেন। আর যখন ওফাতের দিনের কথা বলতেন তখন খুব কাঁদতেন এবং মানুষদেরও কাঁদাতেন।

তার জন্য আল্লাহর রাসুল দুআ করেন, ‘হে আল্লাহ তাকে সম্পদ ও সন্তান দান করুন এবং তাকে বরকত দান করুন।’ আল্লাহ তাআলা এই দুআ কবুল করেন। এজন্য দেখা যায়, আনসারিদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী ও অধিক সন্তানের অধিকারী।তিনি শতাধিক বছর আয়ূ পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর সময় তার ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনির সংখ্যা ছিলো একশোরও বেশি!

হযরত আনাস ইবনে মালেক আনসারি রা. রাসুলের ইন্তিকালের পরও প্রায় আশি বছর জীবিত ছিলেন। এ সময়ে তিনি ফাতওয়া প্রদান এবং রাসুলের হাদিস বর্ণনায় মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। মানুষ যখন কোন কাজে জটিলতায় পড়তো কিংবা শরিয়তের কোন বিধান তাদের বুঝে না আসতো তখন তারা তাঁর শরণাপন্ন হতো। একইভাবে রাসুলের হাদিস অধিক বর্ণনায় তিনি ছিলেন তৃতীয়তম। তার থেকে বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২২৮৬।

তিনি ৯৩ হিজরি সনে বসরায় ইন্তিকাল করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ