রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


দুই বছর সাইকেল চালিয়ে বায়তুল্লাহয় পৌঁছলেন নাইজেরিয়ান তরুণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আলিউ আবদুল্লাহি বালা নামের এক নাইজেরিয়ান তরুণ দুই বছর সাইকেল চালিয়ে সৌদি আরবের মক্কায় পৌঁছেছেন গত ৮ ডিসেম্বর। পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ‍ছিলো তার এই যাত্রা। জেদ্দায় অবস্থানকালে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়াহায়া লাওয়ালের পক্ষ থেকে তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে সাইকেলযোগে নাইজেরিয়া থেকে সৌদি পৌঁছা প্রথম ব্যক্তি মনে করা হয় তাঁকে।

নাইজেরিয়ান দূতাবাস জানায়, নাইজেরিয়া থেকে সাইকেলে চড়ে সৌদি আরব আসা তরুণকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মক্কা ও মদিনা জিয়ারতের জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর নিরাপদে দীর্ঘ ভ্রমণের পর নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন তিনি। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রয়োজনীয় সব সেবা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তা ছাড়া মক্কা ও মদিনায় নিরাপদে সাইকেল ভ্রমণের ব্যবস্থাও করা হয় তার জন্য।

সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক সাক্ষাৎকারে আবদুল্লাহি বালা বলেন, এটা ছিলো জীবন ভ্রমণের মতো একটি যাত্রা। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান পালনের মাধ্যমে জীবনের বড় স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ায় আমি মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল থেকে মক্কায় এভাবে আসা কঠিন হলেও আমার জন্য তা ছিল উপভোগ্য। এ ক্ষেত্রে নাইজেরিয়ান দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সহযোগিতা আমার যাত্রাকে আরো সহজ করেছে।

সড়কপথে নাইজেরিয়া থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব আট হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। বর্তমান সময়ে নাইজেরিয়ান ওমরাহযাত্রীগণ নাইজার, চাদ ও সুদান অতিক্রম করে সৌদি পৌঁছে থাকেন। আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের নাইজেরিয়া থেকে সৌদি পৌঁছা খুব সহজ কাজ নয়। যাত্রা শুরুর পর অসংখ্য বাধা ও বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তাকে।

দীর্ঘ যাত্রায় নানান ধরনের সমস্যার কথা জানিয়ে ‘বালা’ বলেন, চলার পথে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও বন্য প্রাণীদের আতঙ্ক ছিল। এমনকি দস্যুরা আমার মোবাইল কেড়েও নিয়েছিল। পরে সুদানে গিয়ে নিজের অ্যাডভেঞ্চারের ঘটনা বর্ণনা করায় স্থানীয়রা আমাকে একটি ফোন গিফট করে। এছাড়াও অনেক সময় আমাকে ঝোপের মধ্যে ঘুমাতে হয়েছে। আর ফ্ল্যাট টায়ার হলে এক কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল ঠেলে নিতে হয়েছে।

দীর্ঘ পথ ভ্রমণের বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ‘বালা’ বলেন, আমি অনেক শহর ও নগর পাড়ি দিয়েছি। সব জায়গায় স্থানীয়রা আমাকে একজন সাহসী ব্যক্তি হিসেবে স্বাগত জানায়। অনেকে নানান ধরনের সহযোগিতা ও অনুদান দিয়ে পাশে দাঁড়ান। ওমরাহ পালনের পর ফ্লাইটে করে নিজ দেশে ফিরে যান দুঃসাহসী এই সাইকেলিস্ট। সূত্র: ইকনা

-এইচএকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ