বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাপানের সদ্যপ্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। সোমবার বিকেলে টোকিওতে পৌঁছানোর পরপরই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন এবং জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া, তিনি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে গিয়ে শোক বই সই করার জন্য ও রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, শিনজো আবে দীর্ঘ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার সময়ে ২ দেশের সম্পর্ক 'সমন্বিত অংশিদারীত্বে' উন্নীত হয়েছিল। তিনি জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সুসম্পর্ককে আরও উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান এবং ২ দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও জোর দেন। এ ছাড়া, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে জাপানের অবস্থান তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান, শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ