শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

‘বাইতুল কুরআনুল করিম’ জাদুঘরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কাঠের কুরআন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কাঠে খোদাইকৃত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কোরআন শরিফের কথা হয়তো অনেকে জানেন না। ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রা প্রদেশের পালেমবাঙ্গেতে এ কোরআনটি রয়েছে।

কাঠের ওপর খোদাইকৃত কোরআনটির প্রতি পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য ১.৭৭ মিটার এবং প্রস্থ ১.৪০ মিটার। অর্থাৎ ৫.৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪.৬ ফুট প্রস্থ।

এমন কোরআনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকারক সাফওয়াতিল্লাহ মোহজাইব বলেন, ত্রিশ পারা কোরআনের এই পাণ্ডুলিপিটি তৈরি করতে নয় বছর সময় লেগেছে। প্রয়োজনীয় কাঠ ও অর্থের অভাবেই মূলত কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দেরি হয়েছে।

প্রস্তুতকারক সাফওয়াতিল্লাহ জানান, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের সাবেক স্পিকার মারজুকি আলিয়ে এবং নিম্নকক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিক কিমার মতো আরো কিছু দাতার সহায়তায় তিনি তার মহৎকর্ম সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।

২০০০ সালে প্রথম সফওয়াতিল্লাহর মাথায় এমন কাজ করার চিন্তা আসে। তখন তিনি পালেমবাঙ্গের মসজিদে ক্যালিওগ্রাফিবিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিলেন।

এক বছর পর তিনি কোরআনের প্রথম পৃষ্ঠার সুরা ফাতিহা খোদাই করে লিখতে আরম্ভ করেন। কাঠ খোদাইয়ের পূর্বে সাফওয়াতিল্লাহ ভিন্ন একটি কার্ডবোর্ডে নকশা এঁকে বিশেষজ্ঞদের দেখাতেন।

তাদের অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি ট্রেসিং পেপারে নকশাটি ওঠাতেন এবং এরপর খোদাইয়ের কাজ শুরু করেন। এভাবে এক পৃষ্ঠা সমাপ্ত করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যেত তার।

কাঠের বৃহৎ পাণ্ডুলিপিটি তৈরিতে তিনি স্থানীয় টেমবেসু গাছের কাঠ ব্যবহার করেন। শক্ত, মজবুত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় দক্ষিণ সুমাত্রায় বিভিন্ন স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে এ কাঠ ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয়রা।

পাঁচতলা বিশিষ্ট এ বিশাল কোরআনটি পেলামবাঙ্গের আল-ইহসানিয়া গান্দুস বোর্ডিং স্কুলের আল-কুরআন আল আকবর জাদুঘরে রাখা হয়েছে।

২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাম্বাং যুহোয়ানোও বৃহদাকারের এ কোরআন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন কোরআনটির প্রদর্শনী দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী হাজির হন। বর্তমানে ইন্দোনেশীয় নাগরিকদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এ কোরআন।

সাফওয়াতিল্লাহর ভাষ্যানুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ দর্শনার্থী কোরআনটি পরিদর্শন করেছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ