সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন কমিশনকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ৮ দফা প্রস্তাবনা আজ হাসিনার মানবতাবিরোধী মামলার রায়, ট্রাইব্যুনালে চোখ থাকবে দেশবাসীর আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের রূপসায় হাতপাখার গণসংযোগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস ২০২৫: জীবন রক্ষায় সচেতনতার নতুন অঙ্গীকার মাওলানা ফজলুর রহমানের সিলেট আগমন উপলক্ষে ইস্তেকবাল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২টি প্রস্তাবনা অপরাধ কমাতে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা: ড. এম এ কাইয়ুম

নামাজ না পড়লে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুসলিম, যারা কালিমা পড়েছে কিন্তু পরবর্তী জীবনে ঠিকমতো ইবাদত করেনি। যেমন কখনো কখনো নামায পড়েছে, আবার পড়েনি। তারা কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে? নাকি আযাবের পর জান্নাত লাভ করবে?

উত্তর যেসব ঈমানদার ইসলামের বিধি-নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলেনি এবং গুনাহ থেকে তওবা না করে মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহে ক্ষমাও করে দিতে পারেন অথবা তাদের কৃতকর্মের কারণে শাস্তিও দিতে পারেন। তবে গুনাহের কারণে তারা জাহান্নামে গেলেও চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না; বরং এক সময় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমানের কারণে নিজ অনুগ্রহে জান্নাত দিবেন।

কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করা ক্ষমা করবেন না। তবে এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে কেউ আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করল সে মারাত্মক অপবাদ আরোপ করল।-সূরা নিসা : ৪৮

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬

অপর হাদীসে আছে, আবু সায়ীদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতবাসীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

অতপর আল্লাহ তাআলা (ফেরেশতাদেরকে) বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে তাকে জাহান্নাম হতে বের করে আনো। তারপর তাদেরকে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে। অতপর তাদেরকে বৃষ্টির নদীতে বা হায়াতের নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে। যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাও না,সেগুলো কেমন হলুদ বর্ণের বক্র হয়ে গজায়? -সহীহ বুখারী, হাদীস ২২; উমদাতুল কারী ১/১০৪;আলফিকহুল আকবার ৫৭

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ