শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

বাংলা ও আরবি হিজরি সন: এক বৃন্তে দু’টি ফুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।। মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ।।

বাংলা ও হিজরি সনের প্রথম তারিখটি কিন্তু একই। ১ মুহাররম ১ হিজরি। চাঁদের হিসাবে ১৪৪৩ হিজরী চান্দ্র্যবর্ষ। সূর্যের হিসাবে বছরে গড়ে ১০ দিন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২৮ হিজরি বঙ্গাব্দ সৌরবর্ষ।

যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন্ দিন থেকে আজ আররি ১৪৪৩ বছর অতিক্রান্ত হলো? অথবা বাংলা ১৪২৮ সনের পয়লা তারিখটি কি? জবাব হবে একটাই। আমাদের প্রিয়নরি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত বা দেশত্যাগের দিনটি। এ উত্তরই ১০০% সঠিক। বিষয়টি নিজে বুঝুন এবং ইতিহাসের এ বাস্তবতাটি অপর ভাইকেও পৌঁছে দিন।

চান্দ্র্য আররি হিজরি সন গণনা শুরু করেন আমীরুল মুমিনীন হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা.। আজ ১ মুহাররম তাঁর শাহাদাৎ দিবস। ২৪ হিজরির ১ মুহাররম, দুদিন আগে ফজরের নামাজে ইমামতি করাবস্থায় ছদ্মবেশী এক ইরানী অগ্নিউপাসক মুশরিক কর্তৃক বিষমাখা ছুরিতে প্রাণঘাতী আহত হয়ে, এইদিন নিহত হন। সনের বিস্তারিত পঞ্জিকা তৈরি করেন আমীরুল মুমিনীন হজরত আলী আল মুরতাজা রা.।

হিজরী বাংলা সন প্রবর্তন করেন বাদশাহ জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর।বিস্তারিত পঞ্জিকা তৈরি করেন আকবরের নবরত্নসভা সদস্য মন্ত্রী আমির ফাতহুল্লাহ শিরাজি। ধর্মীয় তারিখ ও বাঙালী মুসলমানের চাঁদের হিসাব সামনে রেখে এর সংস্কার করেন বাংলাদেশের ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

আরবী বা বাংলা সনই বলেন, আর হিজরি বা বঙ্গাব্দই বলেন, আসলে এ দুটোই মুসলিম উম্মাহর ঐতিহ্যবাহী ইসলামি সন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐতিহাসিক হিজরতের সময়টিকে মূলভিত্তি ধরেই পরবর্তীতে এ সন প্রচলিত হয়। পার্থক্য কেবল একটি। হিজরী চাঁদের হিসাবে চলছে আর বাংলা সন সূর্যের হিসাবে চলছে। বলতে গেলে এ দুটোই হিজরি সন।

লেখক: চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক, ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ এণ্ড কালচার। শায়েখ,আলামি খানাকাহে রহমানী ঢাকা।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ