শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

বউ ও বিলাই: রাকিবুল হাসানের অনুবাদ গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাকিবুল হাসান।।

আবু কাতাদা রাজি.-এর জন্য অজুর পানি নিয়ে এসেছে তার ছেলের বউ। খাবার খেয়ে তিনি মাত্রই উঠেছেন। এশারের আজান পড়েছে। কিছুটা বিশ্রাম নিবেন কিনা ভাবছেন। পুত্রবধূ এসে বললো, আব্বা, অজু করবেন না?

আবু কাতাদা মুচকি হেসে বললেন, একটু বিশ্রাম নেই।

পুত্রবধূ বললো, শীতকাল। পানিটা গরম করে এনেছিলাম। যখন অজু করবেন, বইলেন। আবার গরম করে দিব।

বিছানা থেকে উঠতে উঠতে আবু কাতাদা বললেন, দাও দাও। শীতের দিনে গরম পানিতে অজু করার আয়োজন। অজুটা করেই ফেলি। পরে আবার কষ্ট করবা কেন?

পুত্রবধূ বললো, এই নেন আব্বা। পিড়িটা পেতে দিলাম। এখানে বসে অজু করেন। আজকে দাঁড়িয়ে আমি আপনার অজু দেখমু। আপনি আমারে আইজ অজু শিখাইবেন।

আবু কাতাদা বললেন, অজু কি পারো না নাকি তুমি। যেভাবে বলতেসো। পুত্রবধূ খানিক লজ্জায় কুণ্ঠিত হয়ে বললো, পারি। তয় আপনার অজু দেখতে ভাল লাগে। কেমন ধীরে মন দিয়ে অজু করেন।

আবু কাতাদা পিড়িতে বসেছেন। পানির পাত্রটা পাশেই রাখা। হাত দিয়ে পাত্রটা নিতে যাবেন, এমন সময় দেখলেন, পানির পাত্রে একটা বিলাই মুখ দিয়ে পানি খাচ্ছে। দেখে মায়া হলো। আস্ফুট স্বরে বললেন, আহারে, কতদিন মনে পানি খায় না। তারপর পানির পাত্রটা আরেকটু ‍ঝুঁকিয়ে দিলেন। বিলাইটা যেন পানিটা আরাম করে খাইতে পারে। বিলাইদের পানি খাবার দৃশ্য খুব সুন্দর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিলাইয়ের ঝুটা খাওয়ার দৃশ্য দেখে। খুব কম মানুষ পানি খাওয়ার দৃশ্য দেখে।

পাশে দাঁড়িয়ে পুত্রবধু অবাক হয়ে দেখছিল। গরম পানি বিলাইয়ের পেটে চলে যাবার দৃশ্য দেখে সে বললো, ‘আব্বা. এইটা কী করতেসেন?
আবু কাতাদা বললেন, ক্যান। কী হইসে মা?

পুত্রবধু বললো, আপনি দেখি বিলাইরে পানি খাওয়াইতাসেন। আবু কাতাদা বললেন, শুনো মা। নবিজি বলেছেন, বিলাই নাপাক নয়। তারা ঘরেরই প্রাণী। তাদের খাওয়াইলে কিছু হয় না।

পুত্রবধূ কথা বললো না। দাঁড়িয়ে দেখল দৃশ্যটা। বিলাইয়ের পানি খাওয়া শেষ হলে বললো, চুলা এখনো গরম আব্বা। রাখেন, আরেকটু পানি করে আনি।

আবু কাতাদা বাধা দিতে পারলেন না। তার আগেই পুত্রবধূ ঘর ত্যাগ করে উনুনঘরে পা বাড়ালো। তিনি বিড়বিড় করে বললেন, মেয়েটারে কইলাম পানি আর গরম করা লাগবো না। তবুও কষ্ট করতে গেলো!

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ