শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

করোনার মধ্যেও দেশে দারিদ্র্য কমেছে: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনার মধ্যেও দেশে দারিদ্র্য কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজ সোমবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি গত ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট-রিকভারি এন্ড রেসিলিয়েন্স অ্যামিড গ্লোবাল আনসারটেইনটি’শিরোনামে প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বলেন, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটার প্রেক্ষিতে ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে ১১ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; যা ২০২০ অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই করোনা মহামারির মধ্যেও সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে এবং অর্থনীতিকে চাঙা রাখার জন্য সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সে সমস্ত কারণে মানুষের মাথাপিছু আয় যেমন বেড়েছে; একইসাথে দারিদ্র্য হার কমেছে-এটি আমাদের বক্তব্য নয়, এটি বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য।

সম্প্রতি প্রকাশিত আইএমএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জিডিপির নিরিখে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৪১তম অর্থনীতির দেশ, আর পিপিপিতে আমাদের অর্থনীতির অবস্থান আরও ওপরে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই করোনা মহামারির মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, দেশে দারিদ্র্য ৪২ শতাংশ। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৪২ শতাংশ ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব এখনও খালেদা জিয়ার আমলের মধ্যেই আছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেটি ৪৮ বিলিয়নে উন্নীত করেছে। বিশ্বে পণ্য, জ্বালানি, পরিবহণ এসব ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সেই রিজার্ভ থেকে কিছু খরচ হয়েছে, এখন ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে; যেটি দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাটাই স্বস্তিদায়ক। সে জায়গায় আমাদের ৬ মাসের রিজার্ভ আছে যেটি দিয়ে ৬ মাস আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন স্থাপন করে সমস্ত ব্যবসায় টোল বসিয়েছিলেন। তখন দুটা ভ্যাট ছিল- একটা হচ্ছে সরকারি ভ্যাট আরেকটা হচ্ছে হাওয়া ভবনের ভ্যাট। এখন বিরোধী দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা ও মহাসচিব হিসেবে এবং ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষক হিসেবে তার অসত্য বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়। আমরা তাকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের রিপোর্ট পড়ার জন্য অনুরোধ করবো, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই মিথ্যা বক্তব্য থেকে ফিরে আসবেন।’

নড়াইলের ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য -আওয়ামী লীগের আমলেই সাম্প্রদায়িক ঘটনা বেশি ঘটেছে, এর জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়েই তারা রাজনীতি করেন। তাদের জোটের বিভিন্ন দল প্রকাশ্যে বলে, তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে, যখন নির্বাচন আসে তখন সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়।

আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে এই দেশ ভারত হয়ে যাবে, আওয়ামী লীগ হিন্দুদের দল কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দল, এসব বিএনপিই বলে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পালন, পোষণ-তোষণ এগুলোও বিএনপি করে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়।’

অতীতের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেগুলোর পেছনে বিএনপির ইন্ধন ছিল জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচনের পর নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামের পর গ্রামে নির্যাতন চালিয়েছিল, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। কোটালীপাড়া, বরিশালের বানারীপাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য লংগরখানা, আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিল।

ধর্মীয় অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল সাহেব এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাবে সেটিই স্বাভাবিক। যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে আমাদের সরকার তখনই ত্বরিৎ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারণ আমাদের দল অসাম্প্রদায়িক দল, আমরা অসাম্প্রদায়িকতা লালন করি।’

নড়াইলের ঘটনার পর সেখানে যে ছেলেটির পোস্টের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটেছে তার বাবাকে এবং হামলার অভিযোগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকেও গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এর পেছনে কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটিও বের করা হবে। সুতরাং অতীতে যেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এই ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। সেই সমস্ত দেশে যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছিল, তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্লোগান দিয়ে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ