মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৮ পৌষ ১৪৩২ ।। ৩ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য কুমিরবেষ্টিত কারাগারের প্রস্তাব ইসরায়েলের, তীব্র বিতর্ক নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নগর সম্মেলন, নতুন কমিটি ঘোষণা ইসলামপন্থীদের টার্গেট করে বেআইনিভাবে আটক বন্ধের দাবি বিহারে মুসলিম হকার হত্যা: ভিকটিমকেই ‘চোর’ বানানোর চেষ্টা মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিনের ইন্তেকাল মাদ্রাসা থেকে র‍্যাব পরিচয়ে তরুণ আলেমকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ আবরার ফাহাদ-ওসমান হাদির নামে দুই ভবনের নাম রাখলেন শিক্ষার্থীরা মুফতি শামাইল ও জাবেদ আখতারের বিতর্ক, দরকারি কিছু কথা ঢাকা–১৩ আসনে দিনভর গণসংযোগে ব্যস্ত ইবনে শাইখুল হাদিস বাড়িতে যৌনকর্মীদের আশ্রয়, জামায়াত নেতা বহিষ্কার

তুরস্কের খ্যাতনামা আলিম ও বুজুর্গ, আধ্যাত্মিকনেতা শায়েখ মাহমুদ আফেন্দির ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্কের খ্যাতনামা আলিম ও বুজুর্গ, আধ্যাত্মিকনেতা শাইখ মাহমুদ আফেন্দি ইন্তেকাল করেছেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তুরস্কে তিনি আলিম-ওলামাসহ সকল দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ও প্রিয়ভাজন ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে অপুরণীয় ক্ষতি হলো, যা সহজে পুরণ হবার নয়। তিনি দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন দীনের এ মহান বুজুর্গের সকল নেকআমলকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমীন।

২০১৩ সালে শায়খুল ইসলাম শায়খ মাহমুদ আফেন্দিকে তুর্কিতে দ্বীনি শিক্ষা প্রচার প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ইমাম কাসেম নানুতবি এওয়ার্ড’ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলেমদের এক সম্মেলনে সায়্যিদ আরশাদ মাদানি হা.ফি. বলেন, শায়খ মাহমুদ আফেন্দি হলেন তুর্কির কাসেম নানুতবি।

দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাওলানা কাসেম নানুতুবি রহ. যেভাবে উলামায়ে কেরামের একটি বিশাল বিপ্লবী কাফেলা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন, তা হলো, যেহেতু দেশের জনগণ ও স্থানীয় প্রশাসন- দুটোই ইসলাম থেকে শত ক্রোশ দূরে সরে গেছে, কাজেই সেক্যুলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে শতভাগ বিদ্রোহে না গিয়ে (১) জনগণকে যথাসম্ভব ধর্মের পথে ফিরিয়ে আনা৷ (২) ব্যক্তিউদ্যোগে, নিরবে-নিভৃতে-সংগোপনে খালিস ধর্মীয়শিক্ষা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখা।

(৩) আধুনিক সমাজব্যবস্থার ভঙ্গুর, ঠুনকো ও দুর্বল দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরে সেক্যুলার মহলের বুদ্ধিবৃত্তিক মোকাবেলা করা॥
যেভাবে উলামায়ে কেরাম রাজধানী দিল্লির মাদরাসাগুলো গুটিয়ে চলে যান দেওবন্দ ও সাহারানপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শুরু করেন সব ধরনের দৃষ্টি এড়িয়ে ইকামতে দ্বীনের নতুন মেহনত।

সেক্যুলারপন্থিরা মহান শায়খের উপর বহু আক্রমণ করেছিল, নব্বইয়ের দশকে একজন দরবারী মুফতীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, ২০০৭ এও এক ভয়ঙ্কর হামলা হয়, আল্লাহর রহমতে তিনি সেই যাত্রায়ও বেঁচে যান৷ পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আয়া সোফিয়ার ফাতহুম মুবিন বা প্রকাশ্য বিজয়ের মূল চাবিকাঠি এই মহান শায়েখ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ