রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে বেফাকের একাত্মতায় পীর সাহেব মধুপুরের অভিনন্দন ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরগিরির দায়ে জাতিসংঘের সাত কর্মীকে বন্দি হুথির ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঢাকা মহানগর কমিটি গঠিত নভেম্বরের মধ্যে গণভোটে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ইবনে শাইখুল হাদিস ৫ দফা দাবিতে বিভাগীয় শহরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মজলিসে শুরার অধিবেশনে ৯ প্রস্তাব ক্ষমতায় গেলে বিএনপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করবে বেফাক নেতৃবৃন্দের আহ্বান ও একাত্মতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত

হিন্দু পণ্ডিতদের দলবদ্ধ কাশ্মীর ত্যাগে বিপাকে বিজেপি, বৈঠকে অমিত শাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের পালানো ঠেকাতে তৎপর হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন তথা নিরাপত্তাবাহিনীর প্রতি কেন্দ্রের কড়া বার্তা- প্রয়োজনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত হিন্দুদের জেলা সদরে বদলি করে নিয়ে আসা যেতে পারে। কিন্তু কোনো পরিবার যেন উপত্যকা ত্যাগ না করে।

অভিযোগ উঠেছে, পণ্ডিতেরা যেন এলাকা ছাড়তে না পারে, সেজন্য গত কালও পুনর্বাসন শিবিরগুলোর সামনে রাস্তা আটকে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

বিজেপি মনে করছে, কেন্দ্রে তাদের সরকার থাকা সত্ত্বেও পণ্ডিতদের উপত্যকা ছাড়তে হলে ভারতে ও ভারতের বাইরে বদনাম হবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের।

এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে স্বাধীনতাকামীদের দমন অভিযান আরো তীব্র করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বড় মাপের ধরপাকড়ের সাক্ষী হতে পারে উপত্যকা।

ভারিতীয় মিডিয়া বলছে, ‘গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড পাক মদতে হয়েছে বলে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে উপত্যকায় বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে’।

কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের একাংশ নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় পালিয়ে গেছেন বা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পণ্ডিতদের দলবদ্ধভাবে এলাকা ত্যাগ রাজনৈতিকভাবে বিপাকে ফেলেছে বিজেপি সরকারকে।

কাশ্মীরের হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে মোদি সরকার ব্যর্থ হয়েছে, এই প্রশ্নে বিরোধীরা তো বটেই, সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। হিন্দুদের নিরাপত্তা না দিতে পারায় অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফাও দাবি করেছেন তিনি।

কংগ্রেসের বক্তব্য, সিনেমা দেখে সময় নষ্ট না করে আরো আগেই মাঠে নামা উচিত ছিল অমিত শাহের। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নীরব কেন, সে প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৌশল ঠিক করতে গতকাল বৈঠকে বসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্‌হা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত, সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে, র’ প্রধান সামন্ত গোয়েল, গোয়েন্দা প্রধান অরবিন্দ কুমার।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ এবং বিএসএফ প্রধান। বৈঠকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন অমিত শাহ। কেন বারবার সরকারের মুখ পুড়ছে, তা নিয়ে কৈফিয়ৎ চাওয়া হয়। এ মাসের শেষে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে যে কোনো মূল্যে উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উপরে জোর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাশ্মীর প্রশ্নে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে নর্থ ব্লকে।

বৈঠকে পণ্ডিতদের সাম্প্রতিক হত্যার পিছনে পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি উঠে আসে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, বেছে বেছে ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে উপতক্যায় অস্থিরতা চালানোর কৌশল নিয়েছে পাকিস্তান।

সূত্র : আনন্দবাজার

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ