বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

রোজায় গ্যাস্ট্রিকমুক্ত থাকবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গরমের দিনে রোজা হওয়ায় আমাদের প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হয়। তাই ইফতারিতে অনেকে পেটপুরে খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে করে পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি ৯ ঘণ্টা পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।

ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ায় অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে ভোগেন। আসুন জেনে নেই, কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে।

গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ-

এক. পেটের উপরের অংশে ব্যথা হবে।

দুই. বুক জ্বালাপোড়া করবে।

তিন. খাবারের আগে পরে পেট ব্যথা হতে পারে।

চার. খাবারের সময় বুকে বাঁধ পড়ার মতো অনুভব হবে।

পাঁচ. ঢেকুর আসবে।

ছয়. বমি বমি ভাব থাকবে এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।

সাত. অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।

রোজায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে-

এক. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।

দুই. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

তিন. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।

চার. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।

পাঁচ. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

ছয়. পায়খানা আটকে রাখবেন না।

গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খেতে পারেন-

এক. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।

দুই. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।

তিন. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।

চার. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।

পাঁচ. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।

ছয়. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সাত. ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ