বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

কর্ণাটকের পর এবার দিল্লির সরকারি স্কুলে হিজাব বিতর্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিয়ে কর্ণাটকে এখনো বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। এই অবস্থায় দিল্লির সরকারি স্কুলে হিজাব বিতর্ক শুরু হলো।

মুস্তাফাবাদ এলাকায় একটি স্কুলে এক ছাত্রীকে হিজাব খুলে ক্লাসে যেতে বলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী একটি ভিডিওতে এই অভিযোগ করে। ভিডিওটি যথারীতি ভাইরাল হয়। তারপর দিল্লি সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।

দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। কিছু মানুষ এই নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে তার অভিযোগ।

দিল্লিতে আপ সরকার আসার পর সরকারি স্কুলের অনেক উন্নতি হয়েছে। স্কুলে ড্রেস কোড তৈরি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সেই কোড মেনেই পোশাক পরে।

মুস্তাফাবাদের স্কুলের ওই ছাত্রীটি ভিডিওতে অভিযোগ করে, স্কুলে যাওয়ার পর এক শিক্ষক তাকে হিজাব খুলতে বলে। তাকে বলা হয়, মায়ের মতো না হতে। স্কুলে হিজাব পরে না আসতে। আরও দুই তিনজন ছাত্রীকেও হিজাব খুলতে বলা হয়।

সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে দিল্লির স্কুলে চালু রীতি হলো, ছাত্রীরা স্কুলে আসার পথে হিজাব পরে, কিন্তু ক্লাসে তারা তা খুলে রাখে। এক্ষেত্রে তাই ছাত্রীটি হিজাব পরে স্কুলে আসার পর শিক্ষক তাকে ওই অনুরোধ করেন। তবে পরে অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয় এবং বিরোধ মিটে যায়।

শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির সরকারি স্কুলে সব ধর্মের ছাত্রছাত্রীকে সমানভাবে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে সমান ব্যবহার করা হয়। তাদের উপর কোনো রকম বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হয় না। ঐতিহ্য মেনে চলা হয়।

সিসোদিয়া বলেন, “আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমার মনে হয় না, আর কোনো সমস্যা আছে। শিক্ষা বিভাগ কোনো রকম বিধিনিষেধ চালু করেনি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাই এত হইচই হচ্ছে।”

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ