বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ।। ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৫


কওমি মাদরাসার সরকারী নিবন্ধন বিষয়ে বিবিসিকে যা বললেন আল্লামা মাহমুদুল হাসান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মতপথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের সহায়তায় আলেমদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইলমে ওহীর শিক্ষাকেন্দ্র কওমি মাদরাসা।

এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত। তবে কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে বর্তমান সময়ে সরকারী নিবন্ধনের প্রশ্ন ওঠে এসেছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম বিবিসি কথা বলেছে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে।

আল্লামা মাহমুদুল হাসান বিবিসিকে বলেছেন, তাদের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে সরকারের কাছে মাদরাসার নিবন্ধনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।

আল্লামা মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, আমরা আমাদের অবস্থানের ব্যাপারে সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

বিবিসি জানায়, তিনি উল্লেখ করেছেন, তাদের স্বকীয়তা রক্ষায় সরকার কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। সরকারের কাছে নিবন্ধনের ব্যাপারে তাদের আর কিছু বলা হয়নি।

আল্লামা মাহমুদুল হাসান এ বিষয়ে আরো বলেন, সরকারের সরাসরি নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকলেও কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর তাদের বেসরকারি মাদরাসা বোর্ডের কাছে নিবন্ধন করতে হয়।

বেসরকারিভাবে বেফাকসহ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড যেগুলো রয়েছে, কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর তাদের কাছে নিবন্ধন করতে হয়। এক বছর পর পর এই নিবন্ধনের তালিকাসহ প্রতিবেদন আমরা বেফাকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পেশ করি।

তিনি আরো বলেন, কোন কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর তার নিবন্ধনের জন্য মাদরাসা বোর্ডের কাছে আবেদন করা হলে, তখন প্রতিষ্ঠাতা ও অর্থের যোগানের ব্যাপারে তথ্য নেয়া হয়। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড আবেদনকারী মাদ্রাসা পরিদর্শন করে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে এবং এরপর নিবন্ধন দেয়া হয়ে থাকে।

বেফাকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ১৯ হাজারের বেশি কওমি মাদরাসায় ২০ লাখের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।

ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ