মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ।। ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৬ জিলকদ ১৪৪৫


দাওয়াতুল হকের ইজতেমার ছবি নিয়ে সমালোচনা: যা বললেন মাওলানা মাহফুজুল হক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

গতকাল ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৭ তম মারকাজি ইজতেমা। ওলামায়ে কেরামের পদভারে মুখরিত এই ইজতেমা রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকালের দাওয়াতুল হকের এই ইজতেমার দু’টি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হোন কেউ কেউ।

আলোচনায় আসা দু’টি ছবির একটিতে দেখা যায়, মাওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বয়ান করছেন। তার ডান পাশে চেয়ারে বসে আছেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সাহেবজাদা মাওলানা আনাস মাদানী। সামনে শ্রোতাদের সঙ্গে মাটিতে বসে আছেন বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। অপর ছবিতে দেখা যায়, মাওলানা মাহফুজুল হক বয়ান করছেন সামনে শ্রোতাদের সঙ্গে মাটিতে বসে বয়ান শুনছেন মাওলানা আনাস মাদানী।

আরো পড়ুন- তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন: ১ আলেমসহ ইসলামী আন্দোলনের ২ প্রার্থীর জয়

সোশ্যাল মিডিয়ায় চলমান আলোচনা-সমালোচনার বিষয়ে ইতোমধ্যে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে মাওলানা মাহফুজুল হকের। তিনি বলেন, শায়েখে যাত্রাবাড়ী আল্লামা মাহমুদুল হাসান বর্তমানে দেশের প্রধান মুরব্বী। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমারও মুরব্বী। তাছাড়া আমি এবং তিনি বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদের দায়িত্বে আছি। আমাদের মাঝে সবসময়ই সুসম্পর্ক বিদ্যমান। কিন্তু কে বা কারা অতি আবেগ কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের দু’জনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছেন।

No description available.

বেফাক মহাসচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে যারা মন্তব্য করছেন, তারা অনুষ্ঠিত দাওয়াতুল হকের ইজতেমার বাস্তবিক অবস্থা জানেন না। আমি তাদের এসব মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে বিব্রতবোধ করছি। আমার চেয়ারে বসা কিংবা মাটিতে বসা কোনো প্ল্যান করা বিষয় নয়। হঠাৎ ঘটে যাওয়া একটি বিষয়। তাছাড়া দাওয়াতুল হকের ইজতেমায় কারো জন্য কোনো চেয়ার নির্ধারণ করে রাখা হয় না। কে চেয়ারে বসলো আর কে মাটিতে বসলো সেটি কারো সম্মান বেশি কিংবা কম তা নির্ধারণ করে না। তাছাড়া ওই সময় আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেব সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের অনেক মুরব্বীকে হারিয়েছি। দয়া করে যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করতে শিখুন। সাইবার বুলিং বা ট্রলে যারা জড়িত আছেন আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই অঙ্গনকে আর বিব্রত করবেন না।

সবশেষ মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আলেমদের সমালোচনার জায়গা ফেসবুক নয়। এবং কোনো মুরব্বি সম্পর্কে  নবীনদের সমালোচনা একেবারেই মোনাসেব নয়। ফেসুবক ব্যবহারকারীরা আগামীতে এই বিষয়ে সচেতন হবেন বলে আশা করছি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ