মুহাম্মাদ মুযযাম্মিল হক উমায়ের: হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু রাতে নফল নামায পড়ার জন্যে মসজিদে যেতেন৷ একবার কিছু সাথীবর্গ তাঁকে পাহাড়া দিচ্ছিলেন৷ তিনি নামায শেষ করে তাঁদেরকে দেখতে পান৷ অসময়ে তাঁদেরকে এখানে উপস্থিতির কারণ জানতে চান৷ জবাবে তাঁরা বললো, আপনাকে হেফাজত করার জন্যে আমরা এখানে পাহাড়া দিচ্ছি৷ তাঁদের জবাব শুনে তিনি তাঁদের কাছে জানতে চান, আপনারা কী আসমানওয়ালা থেকে আমাকে হেফাজত করার জন্যে এখানে আসছেন? না জমীনবাসীদের থেকে হেফাজতের জন্যে এসেছেন? উত্তরে তাঁরা বললো, জমীনবাসীদের থেকে হেফাজত করার জন্যে এসেছি৷
এই কথা শুনে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যতোক্ষণ আসমান থেকে কোন বিষয়ে ফায়সালা না হয়, ততোক্ষণ সেই বিষয় জমীনে প্রকাশ পায় না৷ নিশ্চয় ঈমানের মজা ঐব্যক্তি কখনো পাবে না, যতোক্ষণ না সে এই কথার বিশ্বাস না রাখবে যে, ভালো-মন্দ যা কিছু আসমান থেকে আসে তা কখনো প্রতিহত হবে না৷ আর যা কিছু আসমান থেকে ফায়সালা না হবে, তা কখনোই দুনিয়ায় ঘটবে না’৷
অর্থাৎ ভালো-মন্দ যা কিছু হয় সেটিকে তাকদীর মনে করতে হবে৷ কাউকে দোষারুপ করা যাবে না৷ তাকদীরে যা লিখিত আছে তা আসবেই এই কথার উপর ঈমানকে দৃঢ় ও মজবুত রাখতে হবে৷
-এটি
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        